সৌদীপ ভট্টাচার্য : এক মহিলা রোগীর সিটিস্ক্যানের প্লেট দেখে অন্য এক পুরুষ রোগীর চিকিৎসা করলেন চিকিৎসক। স্বাভাবিকভাবেই ভুল চিকিৎসা চললো বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে। অবশেষে সেই রোগীকে অন্যত্র নিয়ে গেলেন পরিবারের লোকেরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে।
দিন দুয়েক আগে বছর ৭০ বয়সের সন্তোষ দত্তচৌধুরী নামে এক রোগীকে বারাসতের ওই নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর সিটিস্ক্যান করানো হয়। রিপোর্ট দেখে চিকিৎসক বলেন, ওই রোগীর ব্রেনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। নার্সিং হোমের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করা হচ্ছে। বাড়ির লোক চাইলে তাঁকে অন্য কোনও বড় চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারে।
একথা শুনে বাড়ির লোকেরা এরপর কলকাতার একটি বেসরকারি বড় হাসপাতালে সন্তোষবাবুকে ভর্তি করেন। সেখানকার চিকিৎসক সিটিস্ক্যান প্লেট দেখতে গিয়ে দেখেন, সন্তোষ দত্তচৌধুরীর বদলে সিটিস্ক্যান প্লেটটি নমিতা দত্ত নামে অন্য এক মহিলার রোগীর প্লেট। বারাসতের ওই বেসরকারি নার্সিং হোমের চিকিৎসক ওই মহিলা রোগীর সিটিস্ক্যান প্লেট দেখে সন্তোষবাবুর চিকিৎসা করেছেন।
এমন অবাক করা ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পরেন রোগীর আত্মীয়রা। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে সন্তোষবাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তিনি এখন কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই রোগীর মেয়ে সঞ্চিতা দাস।
তবে ভুল স্বীকার করে নিয়ে বারাসতের ওই বেসরকারি নার্সিং হোমের চিকিৎসক দীপঙ্কর সাহার দাবি, কোনও কারণে অন্য সিটিস্ক্যান চলে আসলেও কোনও ভুল চিকিৎসা হয় নি। কিভাবে সিটিস্ক্যান প্লেট বদলে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের এতোবড় ভুলের ঘটনায় এক রোগী এখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরেছেন। এই অভিযোগ তুলে সোমবার ওই নার্সিং হোমে হাজির হয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন পরিবারের সদস্যরা। এব্যাপারে তাঁরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন