Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

ছদ্মবেশে ডাকাত ধরলো পুলিশ

 

The-police-caught-the-robber

শম্পা গুপ্ত : ছদ্মবেশ ধরে ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত ৩ দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের একজন ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। বাকি দুজন অন্য জেলার। ধৃতরা বানজারাদের আস্তানায় গা ঢাকা দিয়ে ছিল। মোবাইলের লোকেশন ট্রাক করে তাদেরকে ধরতে সমর্থ হয় পুলিশ।

গত ৯ জুলাই পুরুলিয়া মফ:স্বল থানার কানালি গ্রামের কাছে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন মদন পাণ্ডে এবং তার ছেলে কানাই পান্ডে। বাবা এবং ছেলে এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো সেদিন রাতেও বাবা–ছেলে একসঙ্গে মোটরবাইকে করে ফিরছিলেন।

অন্ধকার রাস্তায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে আগে থেকেই সেখানে হাজির হয়েছিল দীনেশ পাশি, মান্ডিল ভিভলোর এবং মনয় ভেদ নামে ৩ দুষ্কৃতী। মদন এবং কানাইয়ের মোটরবাইক সেখানে আসতেই তাঁদের বাইক থামিয়ে সমস্তকিছু ছিনতাই করে নেয় দুষ্কৃতীরা।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ডাকাতিতে বাধা পাওয়ায় সম্ভবত বাবা এবং ছেলেকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতীদের ধারনা ছিল, যেহেতু বাবা এবং ছেলে দুজনেই পেট্রোল পাম্পে কাজ করে, তাই তাঁদের কাছে অনেক টাকা থাকতে পারে। আর সেই কারণেই তাঁদেরকে টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। 

ঘটনার পর দুটি মোটরবাইক, টাকাপয়সা এবং বাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা ছিনতাই করা একটি মোবাইল অন করতেই তার টাওয়ার লোকেশন খুঁজে পায় পুলিশ।

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, দুষ্কৃতীরা পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় সেখানে খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তারা এলাকার একটি বানজারাদের বস্তিতে লুকিয়ে রয়েছে।

এরপর পুলিশ ছদ্মবেশ ধরে সেখানে হানা দিয়ে প্রথমে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জেরা করে আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। ধৃতদের শনিবার আদালতে তোলা হয়। বিচারকের নির্দেশে তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। 

জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

ধৃতদের মধ্যে দীনেশের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে। বাকি মান্ডিল এবং মনয়ের বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানার বাসুদেবপুরের জেমারি এলাকায়। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন