শম্পা গুপ্ত : চিতা বাঘের পর বনদপ্তরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরাতে এবার ধরা পরল আরও বেশ কিছু বন্যপ্রাণী। ফলে বনদপ্তর মনে করছে, পুরুলিয়ার জঙ্গলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে। বনদপ্তরের এই ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পরা ছবিতে খুশি দপ্তরের আধিকারিকেরা।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবছরের প্রথম দিকে কোটশিলার সিমনি জাবরের জঙ্গলে একটি পুরুষ চিতাবাঘকে দেখা গিয়েছিল। এবারে বনদপ্তরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় একাধিক চিতাবাঘের ছবি ধরা পরেছে ওই জঙ্গল এলাকায়। এর পাশাপাশি, ছবিতে ধরা পরেছে আরও অন্যান্য বন্যপ্রাণী।
এব্যাপারে পুরুলিয়া জেলা বনদপ্তরের আধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, ট্র্যাপ ক্যামেরায় চিতাবাঘ ছাড়াও ওই অরণ্যে ময়ুর, বার্কিং ডিয়ার এবং গন্ধগোকুল যে রয়েছে, সেই ছবি ধরা পরেছে। জঙ্গলে প্রাণীগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে, ভালোভাবে রাখতে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে।
এমনিতেই পুরুলিয়ার অরণ্যের প্রতি আকর্ষণ রয়েছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। প্রতি বছর বহু মানুষ এখানকার জঙ্গলে ভ্রমণ করতে আসেন। মাওবাদী আতঙ্ক কেটে যাওয়ার পর এই সংখ্যা অনেক বেড়েছে। তার উপরে বনদপ্তরের ক্যামেরায় নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণীর দেখা মেলায় আগামীদিনে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছে সব মহল।
পুরুলিয়া জেলায় প্রচুর জঙ্গল এলাকা রয়েছে। বুদ্ধ পূর্ণিমায় আদিবাসীদের শিকার উৎসবে বন্যপ্রাণী শিকার করার বহুদিনের প্রথা চালু রয়েছে। বন্যপ্রাণ বাঁচাতে তাই গত কয়েক বছর ধরে পুরুলিয়ার জঙ্গলে বন্যপ্রাণী শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনদপ্তর। আর তারই ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এব্যাপারে বাঘমুণ্ডির এক হোটেল ব্যবসায়ী জানালেন, বন্যপ্রাণী শিকারের বিষয়ে এখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেকটাই বেড়েছে। ফলে এখন সেভাবে বন্যপ্রাণী শিকারের ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। আর তারই সুফল মিলছে। এই পরিস্থিতিতে পুরুলিয়ার জঙ্গলে বনদপ্তর পর্যটকদের জন্য যে জঙ্গল সাফারী শুরু করার কথা মাথায় এনেছে, তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন