Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২

নতুন করে আন্দোলনে পরিবহন ব্যবসায়ীরা, সামিল বিজেপি বিধায়ক

 

New-movement

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌রপ্তানী বানিজ্যে স্লট বুকিং পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বনগাঁ শহর। শনিবার রাতে নতুন করে বিক্ষোভ আন্দোলনে সামিল হলেন পরিবহন সংস্থার মালিক, কর্মী, শ্রমিকেরা। তাঁদের এই আন্দোলনে এবার সামিল হলেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া।

বনগাঁ শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে এবং রপ্তানী বানিজ্যের পরিমা‌ণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার নতুন করে স্লট বুকিং পদ্ধতি চালু করেছে। গত ২৪ জুলাই থেকে এই নতুন নিয়ম কার্যকরী করা হয়েছে। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে দফায় দফায় আন্দোলন।

রাজ্য সরকারের এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে আর কোনও রপ্তানী বানিজ্যের পণ্য বোঝাই ট্রাককে সরকারি কিম্বা বেসরকারি ট্রাক পার্কিং এলাকায় দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। ভারতের যেকোনও প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট পোর্টালে গিয়ে তাঁদের ট্রাকের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে স্লট বুকিং করতে পারবেন।


এই বুকিং এর পর সেই ট্রাককে সীমান্তে আসার জন্য নির্দিষ্ট সময় দিয়ে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী সেই ট্রাক ৭২ ঘন্টার মধ্যে পণ্য রপ্তানীর জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে। রাজ্যের পরিবহন দপ্তরের দাবি, এর ফলে একদিকে যেমন শহরে যানজট হবে না, তেমনি রপ্তানীর কাজ দ্রুত এবং পরিমাণে বেশি হবে।

যদিও রপ্তানী বানিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বনগাঁর ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, এই পদ্ধতি চালু হওয়ার কারণে বাইরের রাজ্যের ট্রাকগুলি পণ্য নিয়ে সরাসরি বাংলাদেশে রপ্তানীর জন্য চলে যাবে। ফলে স্থানীয় ট্রাকগুলি কাজ পাবে না। কাজ হারাবেন শ্রমিকেরাও। এর ফলে সব মিলিয়ে বনগাঁর কয়েক হাজার মানুষের রুটিরুজি বন্ধ হয়ে যাবে।

আর সেই কারণে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে নতুন পদ্ধতি বাতিল করে পুরনো পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। এই দাবিতে শনিবার রাত ১০ টা থেকে বনগাঁর মতিগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্প মোড়ে বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ী, শ্রমিকেরা।

তাঁদের এই আন্দোলনে এদিন সামিল হন বনগাঁর বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। তাঁর অভিযোগ, বনগাঁর অর্থনীতি নির্ভর করে পরিবহন ব্যবসার উপর। আর তা নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। এই আন্দোলনে তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে থাকছেন বলে জানান।

যদিও এব্যাপারে বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠের দাবি, কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা করে রপ্তানী বানিজ্যের পরিমাণ বাড়ানো এবং বনগাঁ শহরকে যানজটমুক্ত রাখার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার এই নতুন পদ্ধতি চালু করেছে। আর তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আন্দোলন শুরু করা হয়েছে বলে পুরপ্রধানের অভিযোগ।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন