সৌদীপ ভট্টাচার্য : বাড়ির উঠোনে কিম্বা গাছে গাছে একসময় পাখির কিচির মিচির আওয়াজে মুখরিত হয়ে থাকতো চারপাশ। পাখির কূজনে ঘুম ভাঙতো অনেকেরই। কিন্তু দিন বদলেছে। বিভিন্ন কারণে এখন আর সেভাবে চড়ুই, শালিক, বুলবুলি, টুনটুনির মতো অনেক দেশীয় পাখিদের দেখা পাওয়া যায় না।
আর এই জায়গায় দাঁড়িয়ে এইধরনের স্থানীয় পাখিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংগঠনের পক্ষ থেকে বারাসত থানা, বারাসত সরকারি মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনের গাছে পাখিদের জন্য কৃত্রিম বাসা তৈরি করে দেওয়া হল।
নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ নানা কারণে অনেকটাই বিলুপ্তির পক্ষে এই ধরণের দেশীয় পাখি। একের পর এক গাছ কেটে ফেলার পাশাপাশি ঝড়–ঝঞ্জায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়ছে এই পাখিরা। আর তাই তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করল বারাসতের 'শেলী চৌধুরী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট' নামে একটি সংস্থা।
তাঁদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বারাসত পুরসভার প্রধান অশনি মুখার্জী। এইধরণের সামাজিক কাজে তিনি সবসময় তাঁদের পাশে আছেন বলে জানালেন।পথের অসহায় পশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বারাসতের এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। এবার পাখিদের নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা।
নিজেদের পকেটের অর্থ দিয়ে ৫০ টি ঘট কিনে, তাতে নিজেরাই রঙ করে, সেই ঘট পাখির বাসস্থানের উপযুক্ত করে তৈরি করে তা গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন তাঁরা। সংগঠনের প্রত্যেকেই চান, এই পৃথিবী থেকে কোনভাবেই কোনওপাখি যেন বিলুপ্ত না হয়ে যায়। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের আবেদন, গাছ না কেটে এই পাখিদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন