সৌদীপ ভট্টাচার্য : কথায় কথায় কলকাতার হাসপাতালে রোগীদের স্থানান্তরিত করার সংখ্যা কমিয়ে হাসপাতালের পরিষেবা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে। আর সেই উদ্দেশ্যে শুক্রবার হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ নিগম, জেলা শাসক শরদ দ্বিবেদী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায়, মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, পুরপ্রধান উত্তম দাস সহ অন্যান্যরা।
বেশি অসুস্থ রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরনের পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন, তার অভাব রয়েছে এই হাসপাতালে। ফলে অনেকক্ষেত্রেই উন্নত পরিষেবার জন্য রোগীদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিছুদিন আগেও রোগী স্থানান্তরিত করার সংখ্যা বেশ বেশি ছিল। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, কথায় কথায় রোগীদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
আর এব্যাপারে স্থানীয় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং পুরপ্রধান উত্তম দাসের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পরে। এরপর তাঁরা বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। আর তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব।
এই সংক্রান্ত ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে ক্লিক করুন
কেন এই হাসপাতাল থেকে রোগী বেশি সংখ্যায় কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখেন স্বাস্থ্য সচিব। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে কি কি প্রয়োজন, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য সচিব নারায়নস্বরূপ নিগম জানান।
ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর দাবি, রোগী স্থানান্তরিত করার ঘটনা আগের থেকে অনেকটাই কমেছে। হাসপাতালে আধুনিক পরিষেবা চালু করতে যে ধরনের পরিকাঠামোর প্রয়োজন, তার ব্যবস্থা করা হবে বলে বিধায়ক জানান। আগামী ১০ বছর পরেও যাতে এই হাসপাতালে আধুনিকমানের পরিষেবা দেওয়া যায়, তেমন ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস জানান, খাবারের খোঁজে হাসপাতাল চত্বরে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে বিড়াল। আর তা বন্ধ করতে এখন থেকে রোগীদের ফেলে দেওয়া খাবার একত্রিত করে সেগুলি বিড়ালদের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন