সমকালীন প্রতিবেদন : ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট সংক্রান্ত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের নতুন নির্দেশ। আর সেই নির্দেশের জেরে ১১ বছর পর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মানিক ভট্টাচার্যকে। আপাতত অস্থায়ীভাবে সভাপতির পদের দায়িত্ব সামলাবেন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে মামলা চলছে। আর সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ মেলায় ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও অনেক অনিয়ম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে মানিক ভট্টাচার্যকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারেরা মনে করছেন, বিশাল আকারে অনিয়ম হয়েছে। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় ধাপে যে নিয়োগের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে একাধিক অসঙ্গতি মেলায় সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আজ থেকেই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বিচারক গঙ্গোপাধ্যায় এদিন আরও নির্দেশ দেন যে, মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর মধ্যে হাইকোর্টের ১৭ নম্বর কক্ষে তাঁর এজলাসে সশরীরে হাজির থাকতে হবে মানিক ভট্টাচার্যকে। তার মুখ থেকে বিচারক এই নিয়োগের বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর পেতে চান।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ২৭৮৭ টি আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে পর্ষদের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছিল, সেই আবেদনপত্রগুলির আসল কপি আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। কিন্তু তার একটিও এখনও পর্যন্ত আদালতে জমা করতে পারে নি পর্ষদ। এছাড়াও একাধিক অনিয়ম নজরে এসেছে আদালতের।
পর্ষদের পক্ষ থেকে আদালতে যে নথি জমা পরেছে, তা যাচাই করতে ফরেনসিক পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত মনে করছে, কোনওরকম কাগজপত্র ছাড়াই বেশ কয়েকজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং তারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করছে। এই ধরনের অনুমানের প্রাথমিক কারণ, তাদের কোনও নথিই এখনওপর্যন্ত আদালতে দেখাতে পারে নি পর্ষদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন