সমকালীন প্রতিবেদন : 'মতুয়াদের আবেগ নিয়ে খেলা করলে ছেড়ে দেওয়া হবে না।' বললেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের আবেগে আঘাত করছেন। একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে অন্য মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার দক্ষিন ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থেকে একটি বেসরকারি বাস রিজার্ভ করে একদল মতুয়া ভক্ত ঠাকুরনগরে আসছিলেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, রাত দেড়টা নাগাদ বারাসতের কাজীপাড়া এলাকায় বাসটি আসার পর ট্রাফিক ডিউটি করা মহম্মদ সাহাজাদা বাসটিকে দাঁড়াতে বলেন। সরু রাস্তায় জ্যাম এবং সরু ব্রিজের কারণে বাসটিকে দাঁড়াতে বলেও চালক বাসটি থামাতে অস্বীকার করেন।
আর তাকে কেন্দ্র করেই যাত্রী এবং সাহাজাদার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ওই ব্যক্তি বাস লক্ষ্য করে পাথ ছুঁড়ে বাসের কাঁচ ভেঙে দেয়। এরপর দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। স্থানীয় কয়েকজন ছুলে এলে গোলমাল আরও বেড়ে যায়। এই ঘটনায় সুমন হালদার নামে এক মতুয়া ভক্ত ব্যাপকহারে আহত হন। পরিস্থিতি বিপদজনক বুঝে ঘটনাস্থল থেকে বাস নিয়ে পালিয়ে আসেন চালক। তেঁতুলতলা এলাকায় বাসটি দাঁড় করিয়ে ফের আর এক প্রস্থ গোলমাল হয়।
এই ঘটনায় শেখর হালদার নামে এক বাসযাত্রী বারাসত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেইমর্মে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে (কেস নম্বর—২০৬/২২, ধারা–৩৪১, ৩২৬, ৩৫৪, ৩৭৯, ৪২৭,৫০৬, ৩৪ আইপিসি)। এই ঘটনায় পুলিশ মহম্মদ সাহাজাদা, জহির মোল্লা, তাহিদ খান এবং মহম্মদ সিরাজুল নামে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদেরকে শুক্রবার বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের দুদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই ঘটনা সম্পর্কে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'কেউ আইনের ঊর্দ্ধে নয়। আইন আইনের পথে চলবে। বারাসতের ওই ঘটনায় পুলিশ ৪ জন কে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ এবং ধর্মীয় উত্তেজনার সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এটা হতে দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীই এখনও পর্যন্ত মতুয়া সম্প্রদায়কে সম্মান জানাতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন বোর্ড সহ ঠাকুরবাড়িকে সাজিয়ে তুলেছেন।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন