Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে নতুন সম্ভাব্য জোট? চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বৈঠক ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

 

China-Pakistan-and-Bangladesh-Meeting

সমকালীন প্রতিবেদন : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন উত্তাপ। পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন–এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সম্প্রতি বেজিংয়ে বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন চিন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনৈতিক আধিকারিকরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯ জুন চিনের রাজধানীতে আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনের উপ-বিদেশমন্ত্রী সুন ওয়েইডং, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এবং পাকিস্তানের অতিরিক্ত বিদেশসচিব ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী।

এই বৈঠক ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কৌশলের নানা জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, সার্কের বিকল্প হিসাবে একটি নতুন আঞ্চলিক মঞ্চ গঠনের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে, যার মাধ্যমে মূলত ভারতকে কৌশলগতভাবে চাপে রাখা হবে। যদিও বাংলাদেশ সরকার প্রকাশ্যে এই দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে। 

বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হাসান বলেছেন, “এই বৈঠকের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যুক্ত নয়, এটি ছিল একান্তই আমলাদের মধ্যে আলোচনা।” তিনি আরও জানান, এই সভা নিয়ে কোনও যৌথ বিবৃতিও জারি করতে চায়নি বাংলাদেশ। তবে বৈঠকের পরে পাকিস্তানের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও সন্দেহজনক করে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই ত্রিপাক্ষিক সংযোগ ভবিষ্যতে আরও মজবুত হয় এবং তা কোনও ধরনের জোটে পরিণত হয়, তবে তা ভারতের জন্য গুরুতর কৌশলগত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের সম্প্রসারণ যদি বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তাহলে পূর্ব ভারতের জন্য তা বাড়তি চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। বিশেষত শিলিগুড়ি করিডর তথা ‘চিকেন নেক’ এলাকায় চিন্তা বাড়বে নয়াদিল্লির।

সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস চিন সফরে গিয়ে ‘চিকেন নেক’–এর প্রসঙ্গ তোলায় নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে ভারতের নিরাপত্তা মহলে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে চিনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পর্দার আড়ালে বেজিং, ইসলামাবাদ এবং ঢাকার মধ্যে যে নতুন সমীকরণ গড়ে উঠছে, তা কার্যত ভারতের তিনদিক ঘিরে এক ‘কৌশলগত ত্রিভুজ’ তৈরি করতে পারে— এমনটাই আশঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকেরা।

বর্তমানে এই বৈঠক ভবিষ্যতের কোনও কৌশলগত জোটের প্রথম ধাপ কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভারতের কূটনৈতিক মহল যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে এই সম্ভাব্য ঘেরাটোপ ঘিরে।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন