সমকালীন প্রতিবেদন : বাস না থামিয়ে এক যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হল। আর সেই বাসের চাকাতেই পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বাসযাত্রীর। বাসের কনডাক্টর এবং চালকের অসাধানতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মৃতার স্ত্রীর। শনিবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানা এলাকায়।
জানা গেছে, গাইঘাটার মন্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা বছর ৩৮ বয়সের দীব্যেন্দু বিশ্বাস এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতা বিশ্বাস শনিবার সকালে বিশেষ কাজে হাবড়ায় যান। কাজ সেরে বনগাঁ–দক্ষীনেশ্বরের মধ্যে যাতায়াতকারী ডি এন–৪৪ রুটের একটি বাসে করে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন।
অভিযোগ, যে জায়গায় বাস দাঁড়ানোর কথা ছিল, সেখানে না দাঁড়িয়ে গাড়িটির গতি কমিয়ে একপ্রকার জোর করে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় দীব্যেন্দুকে। তিনি নামার আগেই বাসটি আবার চলতে শুরু করে।
আর তখনই তিনি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পরে গেলে বাসের পেছনের চাকা তাঁর পেটের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। বিপদ বুঝে বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে দীব্যেন্দুর স্ত্রীকে নামিয়ে দিয়ে বাসটি বনগাঁর দিকে চলে যায়।
এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা যশোর রোড অবরোধ শুরু করেন। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অবরোধকারীরা।
তাঁরা দাবি করেন, বাস চালানোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রন আনতে হবে। পাশাপাশি, মৃত ব্যক্তির পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঘাতক বাসটিকে আটক করা গেলেও বাসের চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা পলাতক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন