Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

‌বনগাঁর ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবীন আর নবীনদের লড়াই

Fight-between-old-and-new-in-Ward-No-2-of-Bangaon

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌বনগাঁ পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এবার ত্রিমুখী লড়াই। সেখানে প্রবীন আর নবীন প্রার্থীদের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী শিখা ঘোষ, বিজেপি প্রার্থী স্বাতী রায় এবং বাম তথা সিপিআইএম প্রার্থী বেলা তরফদার। মূলত এই তিনজনের মধ্যেই লড়াই হবে। এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে সরগরম ওয়ার্ড।


তৃণমূল প্রার্থী শিখা ঘোষ এবার দ্বিতীয়বার পুরভোটে লড়াই করছেন। ২০১০ সালে তিনি প্রথমবার এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও সেবারে তিনি পরাজিত হন সিপিএম প্রার্থী চন্দনা সাহার কাছে। এবারে দল তাঁকে ফের প্রার্থী করেছে। প্রচারে গিয়ে মানুষের কাছে রাজ্য সরকারের নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা তুলে ধরছেন। আর এই উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে গেলে তাঁকে জয়ী করার কথা বলছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই ওয়ার্ডে বিরোধী বলে কেউ নেই।


অন্যদিকে, এই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী স্বাতী রায় এবারেই প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সেই অর্থে রাজনীতিতেও হাতেখড়ি বলা চলে। তবে তাঁর স্বামী রাজীব রায় বিজেপির বনগাঁ উত্তর পৌর মন্ডলের যুব সভাপতি। তাঁর পাশাপাশি, মামাশ্বশুর দেবদাস মন্ডল বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক। ফলে তাঁদের পরিচিতিতে পরিচিত স্বাতী রায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে গিয়ে তাঁকে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আবেদন করছেন।


এই ওয়ার্ডের বাম তথা সিপিএম প্রার্থী বেলা তরফদার দীর্ঘদিন ধরে বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বলা চলে তাঁর গোটা পরিবারই বাম ঘরানার। এর আগে ১৯৯৫ এবং ২০০০ সালে এই ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে দুবারই জয়ী হয়েছেন বেলা। পরের বছর অর্থাৎ ২০০৫ সালে ১ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়িয়েও জয়ী হন তিনি। ফলে এলাকায় তাঁর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। সাম্প্রতিককালে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনে সিপিএমের নতুন করে উত্থানের হাওয়া ২ নম্বর ওয়ার্ডেও লাগবে এবং তিনি নিশ্চিত জয়ী হবেন বলে আশা করছেন বেলা তরফদার।



২ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৫৩৪৯। শেষ পুরসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হলেও তারপর ইছামতী দিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁর অন্যান্য ওয়ার্ডের পাশাপাশি এই ওয়ার্ডেও হার হয়েছে তৃণমূলের। তারপরেও দিন দিন পরিস্থিতির বদল হয়েছে। এমন একটি অবস্থানে দাঁড়িয়ে এলাকার মানুষ শেষপর্যন্ত কাকে তাঁদের এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেন, সেটাই এখন দেখার।




 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন