সমকালীন প্রতিবেদন : সরকারিভাবে আয়োজিত ভ্যাকসিন শিবির থেকে চুরি যাওয়া ভ্যাকসিন দিয়ে এলাকার মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। আর এই চুরির কাজে সহযোগিতা করেছিল এলাকারই এক ব্যক্তি। স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছ থেকে এমনই অভিযোগ পেয়ে গ্রেপ্তার করা হল এক হাতুড়ে এবং তার এক সহযোগীকে। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বনগাঁ ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বনগাঁ ব্লকের গোপালনগর থানার আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি উদ্যোগে এবং স্থানীয় পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার শিবির অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়। শিবির শেষে সেখান থেকে ভ্যাকসিনের ৬ টি ভায়েল বেশি হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, সেই ৬ টি ভায়েল থেকে ৪ টি ভায়েলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বনগাঁ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক সাহারায় জানান, 'ভ্যাকসিনের ভায়েল খোঁয়া যাওয়ার বিষয়টি ওইদিনই স্বাস্থ্য কর্মীরা আমাকে জানান। আমি বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে রাখি।' এরপরই মঙ্গলবার আকাইপুর এলাকায় একটি দোকানে বসে এক হাতুড়েকে এলাকার মানুষদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার খবর জানাজানি হয়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামে বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য এবং তাঁর অনুগামীরা।
অভিযোগ, লোক মারফত সরকারি শিবির থেকে বাড়তি ভ্যাকসিন হাতিয়ে ওই হাতুড়ে এলাকার মানুষদের বেআইনীভাবে ভ্যাকসিন দিচ্ছিল। এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে, আগের দিন সরকারি শিবির থেকে যে ৪ টি ভায়েল খোঁযা গিয়েছিল, সেগুলিই হাতুড়ে শংকর রায়ের হাতে এসেছিল। সেই ভ্যাকসিনই এদিন সে দিচ্ছিল। এই অনৈতিক কাজে তাকে সাহায্য করেছিল দিলীপ রায় নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনার পরই পুলিশ ভ্যাকসিন চুরির দায়ে মঙ্গলবার রাতে শংকর রায় এবং দিলীপ রায়কে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠায় গোপালনগর থানার পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন