সমকালীন প্রতিবেদন : জলে ডুবে যাওয়া এক যুবককে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। আর তারপরই রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের ব্যাপক গোলমাল বাধে। অভিযোগ, মারধোরের ঘটনায় দুজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুর ২ টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে এদিন দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে বনগাঁ থানার পাটশিমুলিয়া এলাকায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ সৎকার করে পরিজনেরা একটি পুকুরে স্নান করতে যান। সেখানে মাতিয়াস ইক্কা নামে এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তিনি আর জল থেকে উঠতে পারেন নি। বেশ কিছুক্ষণ পর তাকে জল থেকে উদ্দার করে এদিন দুপুরে স্থানীয়রা বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ওই যুবকের শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা জানান যে, ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
যদিও চিকিৎসকদের একথা বিশ্বাস করতে পারেন নি মৃত যুবকের পরিবারের লোকেরা। তারা দাবি করতে থাকেন, ওই যুবককে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হবে। এই দাবিতে তারা জোর খাটানোর চেষ্টা করলে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদেরকে বাধা দেন। আর তখনই দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের অভিযোগ, মৃত রোগীর পরিজনেরা তাঁদেরকে মারধোর শুরু করে। আর তাতে তাঁদের ২ জন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন।
যদিও মৃত যুবকের পরিবারের লোকজনের দাবি, কোনও মারধোরের ঘটনা ঘটে নি। উত্তেজনাবসত ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষীরা তাদেরকে মারধোর করেছে। মৃত যুবকের পরিবারের লোকেদের আরও বক্তব্য, ওই যুবককে কোনওরকম চিকিৎসা না করেই তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে চিকিৎসকেরা। এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হযেছিল। ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করার কোনও সুযোগ ছিল না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন