শম্পা গুপ্ত : 'শরীর যেমন রক্ত ছাড়া বাঁচে না, তেমন বাঙালীকে বইয়ের মাধ্যমেই বাঁচতে হবে। পৃথিবীতে ২৮ কোটিরও বেশী বাঙালী আছেন, যা আমেরিকায় বসবাসকারী লোকসংখ্যার থেকেও বেশী।' শনিবার পুরুলিয়া জেলার ৩৬ তম বইমেলার উদ্বোধন করতে এসে একথা বললেন রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের মন্ত্রি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দপ্তরের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, জেলাশাসক রাহুল মজুমদার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সূজয় ব্যানার্জী, জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ, রাজ্য জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের জেলা আধিকারিক মার্শাল টুডু সহ বিশিষ্টজনেরা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর অনুপ্রেরনায় 'মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা'– এই আঙ্গিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের উদ্যোগে স্থানীয় গ্রন্থাগার কৃত্যক, পুরুলিয়ার ব্যবস্থাপনায় শুরু হল এই বইমেলা। জেলার হিলভিউ গ্রাউণ্ডে অনুষ্ঠিত এই বইমেলায় ৬৫ টি স্টলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রকাশকরা হাজির হয়েছেন। বইমেলার স্টলগুলি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সহ অন্যান্য অতিথিরা।
বইমেলার উদ্বোধন করে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, 'বইয়ের বিকল্প নেই। বই পড়লে তবেই জ্ঞান অর্জন করা যায়। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ভারতবর্ষের কোনও রাজ্যে জেলাভিত্তিক এইরকম বইমেলার আয়োজন হয় না।' ডিস্টিক্ট লাইব্রেরী, টাউন লাইব্রেরী এবং গ্রামীন লাইব্রেরীতে বই কেনার জন্য প্রায় ১১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। সারা রাজ্যে বইমেলার খরচ হিসেবে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়াও লাইব্রেরীতে পাঠকরা এসে যাতে বই কিনতে পারেন, তারজন্য আলাদা টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন