Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১

টাকিতে প্রতিমা নিরঞ্জনে মিলবে না দুই বাংলা

Two-Bengalis-will-not-match-in-Niranjan

সৌদীপ ভট্টাচার্য : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। এই দুর্গাপুজোর নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে  দুই বাংলার মানুষ সীমান্তের বেড়াজাল ভেদ করে প্রতি বছরই একত্রিত হতেন। কিন্তু করোনা আবহে এবছরও নিরঞ্জনের মিলন উৎসব দেখা যাবে না উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের টাকিতে। নিরঞ্জন হলেও দুই বাংলার মানুষ এবছর আর একত্রিত হতে পারবেন না। 


এই খবরে দুই বাংলার মানুষের মনে নেমে এসেছে বিষাদের সুর। এতদিন বাংলার মহিলারা একদিকে যেমন সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন, অপরদিকে সাধারণ মানুষেরাও মিষ্টিমুখ ও বিভিন্ন ধরণের খাবার বিতরণের মধ্য দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতেন। প্রতি বছর বসিরহাটের হাসনাবাদের টাকি পর্যটন কেন্দ্র ইছামতি নদীতে নৌকোয় করে প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে এইরকম আনন্দে মেতে উঠতেন দুই বাংলার মানুষেরা। 


বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিজিবি)‌ এবং ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)‌ দের নজরদারি থাকতো কড়া। কিন্তু করোনা আবহে শুধু নিরঞ্জনটুকুই হবে ইছামতি নদীতে। কিন্তু দুই বাংলার মানুষ আর এক সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন না। করোনার জন্য টাকির এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিমা নিরঞ্জনে নতুন নিয়ম নিয়ে আসা হয়েছে। 


ইছামতি নদীর ভারতীয় সীমান্তের দিকে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তারা একেকটি নৌকোতে একটি করে প্রতিমা নিয়ে আট জন মানুষ থাকবেন। যারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে পারবেন না। অপরদিকে, বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে বাংলাদেশিরা ঠিক একইভাবে নৌকোতে করে প্রতিমা নিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন করবেন। তাঁরাও ভারতীয় সীমান্তে আসতে পারবেন না। 


আর এই ইছামতি নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করার জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। যারাই নথিভূক্ত করবে, তাঁরাই শুধুমাত্র নদীতে নিরঞ্জনের অনুমতি পাবেন। বাকিরা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নিরঞ্জন উপভোগ করবেন। তবে সেটা করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। দুই দেশের পক্ষ থেকে এমনটাই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর মন খারাপ হাসনাবাদ ও টাকির পুজো উদ্যোক্তাদের। এই নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মানুষ একত্রিত হতেন। সেটা আর হবে না। শুধুমাত্র নদীর একপাড়ে দাঁড়িয়ে অপর পারের নিরঞ্জন দেখতে হবে এবার দুই বাংলার মানু্ষকে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন