সমকালীন প্রতিবেদন : আর্ন্তজাতিক পাচারচক্রের সোনা পাচারের (Gold Smugling) নতুন পদ্ধতি। তবে তাও শেষ পর্যন্ত ধরা পরল শুল্ক দপ্তরের (Customs) হাতে। শুল্ক দপ্তরের লাগাতার অভিযানে উদ্ধার হল দেড় কিলোগ্রামেরও বেশি সোনা৷ এই সোনাগুলি বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। গোটা বিষয়টি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তরের সহকারী কমিশনার (Asst. Commissionar) গিরিধর ষড়ঙ্গী৷ সোনা পাচারকারীদের পাচারের এইসব নতুন নতুন কৌশল দেখে হতবাক শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকেরা।
পেট্রাপোল শুল্ক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২৮ অক্টোবর পেট্রাপোল (Petrapole) সীমান্তে সন্দেহজনক ১ ব্যক্তিকে আটক করে শুল্ক দপ্তর। ওই ব্যক্তি তার অন্তর্বাসের ভেতরে করে সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৬৫ গ্রাম সোনা। ভারতের মহারাষ্ট্রের (Maharastra) বাসিন্দা ওই পাচারকারী সোনাকে গুড়োঁর আকার দিয়ে সেগুলিকে পেষ্ট করে ক্যাপসুলের ভেতর ভরে। এরপর সেই ক্যাপসুলগুলি নিজের অন্তর্বাসের ভেতর লুকিয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে ভারতে (India) পাচারের চেষ্টা করছিল৷
একইভাবে ২৯ অক্টোবর তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকেরা। তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৬৭৫ গ্রাম সোনা। ওই পাচারকারীরা সোনাকে মহিলাদের হাতের বালার আকারে তৈরি করে প্রযুক্তির সাহায্যে সেই সোনার রং পরিবর্তন করে সিলভার অর্থাৎ রুপোর মতো রং করে ফেলে। পাচারকারীদের উদ্দেশ্য ছিল, সোনার রং বদল করলে, সেগুলি শুল্ক দপ্তরের সন্দেহ হবে না। ফলে তারা সহযেই সেই সোনা পাচার করতে সমর্থ হবে। যদিও শেষ পর্যন্ত পাচারকারীদের সেই উদ্দেশ্য সফল হল না।
এর পাশাপাশি, শনিবার সকালে সোনা গলিয়ে পাত বানিয়ে মোবাইল ফোনের কভারের ভেতরে লুকিয়ে সেই সোনা পাচারের চেষ্টা করছিল আরও এক সোনা পাচারকারী। তাকেও আটক করেন শুল্ক দপ্তরের অফিসারেরা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৫০ গ্রাম সোনা৷ সব মিলিয়ে পর পর তিন দিনে উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজিরও বেশি ওজনের সোনা, যার বাজার দর প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানিয়েছে শুল্ক দপ্তর৷ এই ঘটনায় আগামী দিনে আর্ন্তজাতিক সোনা পাচার চক্রের বিরুদ্ধে আরও বেশি সজাগ দৃষ্টি রাখার দিকে জোর দিচ্ছে শুল্ক দপ্তর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন