Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আবারও দুর্যোগের মুখে সুন্দরবন, পর্যটকশূন্য বকখালি

 

Bakkhali-without-tourists

সমকালীন প্রতিবেদন : ইয়াসের স্মৃতি এখনও দগদগে। তারই মধ্যে ফের দুর্যোগের মুখে সুন্দরবন এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত সুন্দরবনের বাসিন্দা‌রা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূল বকখালিও এই মুহূর্তে পর্যটকশূন্য। ইতিমধ্যেই সেখানে শুরু হয়েছে ঝোড়ো বাতাস সহ প্রবল বৃষ্টি।


ঘূর্ণিঝড় 'গুলাব'‌ এই রাজ্যে সরাসরি প্রভাব না ফেললেও এর পেছনেই রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। আর তারই প্রভাবে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমুদ্র পর্যটনকেন্দ্র দীঘা, মন্দারমনি, বকখালি ইত্যাদি জায়গাগুলোকে পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকেই এই সব এলাকার হোটেলগুলিতে সরকারি নির্দেশে পর্যটকদের জন্য বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 


এইসব পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে এই মুহূর্তে শুধুমাত্র প্রশাসন এবং সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ছাড়া কোনও পর্যটক নেই। বকখালিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর (এনডিআরএফ) এর ২৫ জনের একটি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য। সোমবার থেকেই স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা এনডিআরএফ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বকখালি সমুদ্র সৈকতে ঘনঘন মাইক প্রচার করছেন। 


বিপর্যয়ের আশংকা থেকে রাজ্য প্রশাসন সেখানে সমস্তরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে রাজ্যের কয়েকটি জরুরী দপ্তরের কর্মী, আধিকারিকদের। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বকখালিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যত সময় এগোচ্ছে বৃষ্টির দাপট ততোই বাড়ছে। এই মুহূর্তে সেখানে প্রবল ঝড়ো বাতাস সহ মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। 


কিছুদিন আগেই ইয়াসের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছিল বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই স্মৃতি এখনও তাজা ওই এলাকার মানুষদের মনে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে দুর্যোগের খবরে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন সুন্দরবন এলাকার মানুষ। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। সরকারি নির্দেশ মেনে শুধু সাবধানতা অবলম্বন করলেই চলবে।



প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বকখালি সহ সমুদ্র উপকুল এলাকায় রাতে বৃষ্টির পরিমান আরও বাড়বে। এইসব এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলা শাসক উল্গানাথন সোমবার বিকেলে বকখালি পৌঁছান। তিনি জানান, '‌বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির দাপট বেশি থাকবে। ফলে বুধবার পর্যন্ত কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘোড়ামার, মৌসুনী দ্বীপ সহ নিচু এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিটি মহকুমায় খোলা হয়েছে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম।'





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন