সমকালীন প্রতিবেদন : বিশ্বকর্মা পুজোতে এবারেও অলিখিত 'অরন্ধন উৎসব' পালিত হল বনগাঁর কালুপুর এলাকায়। গত ১৩ বছর ধরে এই ধারা চলে আসছে। আর কর্মকান্ডের মূল উদ্যোক্তা রাধাকৃষ্ণ ফ্লাওয়ার এন্ড রাইস মিল কর্তৃপক্ষ।
২০০৮ সালে কালুপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এখানে কর্ম সংস্থান হয়েছে বেশ কিছু পরিবারের। এই মিল সূচনা হবার পর থেকেই প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন কালুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি আশপাশ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে মিল কর্তৃপক্ষ। এইদিন একপ্রকার অরন্ধন পালন করেন অনেক পরিবার। এক মিলনক্ষেত্রে পরিনত হয় মিল চত্বর।
মিল কর্তৃপক্ষের তরফে মন্টু সাহা জানান, 'করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর থেকে বসে খাওয়ানোর ব্যবস্থার বদলে ভিড় এড়াতে প্যাকেট খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবছরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।' করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পরার পর লকডাউনে অনেক সাধারণ মানুষ সমস্যায় পরেন। এমন পরিস্থিতিতে মিল কর্তৃপক্ষ কয়েক হাজার মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করেছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন