Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

দল বিরোধী কাজের অভিযোগে পদ থেকে বহিস্কৃত বিজেপির দুই জেলা নেতৃত্ব

 

সমকালীন প্রতিবেদন : দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে বিজেপির জেলা মহিলা মোর্চা এবং জেলা কিষান মোর্চার জেলা সভানেত্রী ও সভাপতিকে তাঁদের পদ থেকে বহিষ্কার করল দলের রাজ্য নেতৃত্ব। বহিস্কৃত এই দুই পদাধিকারীর নাম উত্তরা বারুরি এবং বুদ্ধদেব মাল্য। বুধবারই দলের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে লিখিত আকারে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।


বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা বারুরি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন। অন্যদিকে, বুদ্ধদেব মাল্য জেলার কিষান মোর্চার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তাঁদের দুজনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে বাকিদের উদ্দেশ্যে দল বার্তা দিল বলে মনে করছেন দলের অন্যান্য নেতা, কর্মীরা।

এ ব্যাপারে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব জানিয়েছেন, 'বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই উত্তরা বারুরি এবং বুদ্ধদেব মাল্য দলের কোনও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছিলেন না। এর জন্য তাঁদেরকে শোকজও করা হয়। কিন্তু তারও কোনও উত্তর তাঁরা দলকে দেননি।' 

তিনি আরও বলেন, 'দলের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিল যে, তাঁরা নানাভাবে দল বিরোধী কাজ করছেন। একই সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।' দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এরপর তাঁদের দু'জনের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে তদন্ত শুরু হয়। আর সেখানেই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ মিলেছে। এর পরেই তাঁদের ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান দলের জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব।

দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, উত্তরা বারুরিকে তাঁর দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্তের কথা লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। অন্যদিকে, কিষান মোর্চার জেলা সভাপতির পদ থেকে বুদ্ধদেব মাল্যকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

এর পাশাপাশি দলের সিদ্ধান্তের কথা আলাদাভাবে এই দু'জনকে জানিয়ে দিয়েছেন দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনস্পতি দেব। খুব তাড়াতাড়ি এই দুই পদে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জেলা সভাপতি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী আলোরানী সরকার বলেন, 'বিজেপি যে ধরনের কাজকর্ম করছে, তাতে তাদের দলে বড় নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী- কেউই আর থাকতে চাইছেন না। তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন, মমতা ব্যানার্জি কিভাবে সাফল্যের সঙ্গে দল এবং সরকার চালাচ্ছেন। তাই বিজেপির নেতা, কর্মীরা এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছেন। আমি আশা করি, জেলা সভাপতির পদ থেকে বহিস্কৃত বিজেপির এই দুই জেলা নেতৃত্ব তৃণমূলে চলে আসবেন।'



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন