সমকালীন প্রতিবেদন : ভালো পোশাকে রাস্তার ধারে বসে একদল যুবক। তাঁদের কেউ চপ ভাজছেন, কেউ জুতো পালিশ করছেন, আবার কেউ রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে জেলা পরিষদের গেটের সামনে পথ চলতি মানুষেরা এমন দৃশ্য দেখে অবাকই হলেন। আসলে এঁরা হলেন একদল শিক্ষিত বেকার যুবক–যুবতী। চাকরির নায্য দাবিতে তাঁরা এদিন এভাবেই অভিনব উপায়ে প্রতীকি বিক্ষোভ দেখালেন। এদিন একই দাবিতে পূর্ব বর্ধমানেও একই ধরনের আন্দোলনে সামিল হন সেখানকার চাকরীপ্রার্থীরা।
প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের নিয়োগের দাবিতে এদিন ফের একত্রিত হয়েছিলেন জেলা পরিষদ ভবনের সামনে। বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঘোষণা অনুযায়ী ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি নিয়ে এদিন বারাসতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সামনে অভিনব বিক্ষোভ দেখান। এদিনের আন্দোলনের আয়োজক ডি.এলএড ঐক্য মঞ্চ।
তাঁদের মূলত দাবী, ২০১৪ র টেট উত্তীর্ণ ডি.এলএড প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগপত্র দিতে হবে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১৬৫০০ প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিযুক্ত করতে হবে। এছাড়াও টেট উত্তীর্ণ সকল প্রার্থীদের তালিকাভুক্ত করে মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী চাকরি দিতে হবে।
এর আগে চলতি মাসের ১২ আগস্ট নিয়োগের দাবিতে বারাসত প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল এই চাকরিপ্রার্থীরা। আজ আবারও তাঁরা বিক্ষোভ দেখালেন জেলা পরিষদ ভবনের সামনে। এত বিক্ষোভ আন্দোলন করার পরেও তাঁদের নিয়োগ হচ্ছে না।
তাই আজ তাঁরা জেলা পরিষদের সামনে কেউ চপ ভেজে, কেউ জুতো পালিশ করে, কেউ ঝাড়ুদার হয়ে, আবার কেউ গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে অভিনব উপায়ে প্রতীকি বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পাশাপাশি, তাঁরা পথচলতি মানুষদের তাঁদের দাবি সমূহ লিফলেট সহ একটি করে চারা গাছ তুলে দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন