সৌদীপ ভট্টাচার্য : কোভিড হাসপাতাল রোগীকে ভর্তি নিল না সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালের গেটের সামনেই মৃত্যু হল মুমূর্ষু রোগীর। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আসানসোলের বাসিন্দা বছর ষাটের কৃষ্ণা যাদব খড়দহ এসেছিলেন সিমেন্টের বস্তা খালি করার জন্য। লরির পাশে শুয়েছিলেন। হঠাৎই একটি গাড়ি এসে তাঁকে চাপা দিয়ে চলে যায়।আশংকাজনক অবস্থায় তাঁকে খড়দহ বলরাম স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় চিকিৎসকেরা গেটের তালা খোলে নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, এমনই অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এই অবস্থায় হাসপাতালের গেটের সামনে দেড় ঘন্টা পরে থেকে শেষপর্যন্ত সেখানেই মৃত্যু হল কৃষ্ণা যাদবের। এই ঘটনার পরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ। ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় খড়দহ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। মৃতের ছেলে অঙ্কিত যাদব জানান, মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাবা ও তিনি সিমেন্ট এর লরি নিয়ে আসেন খড়দার গ্যাস গোডাউন এলাকায়। সেখানে লরি আনলোড করে তাঁর বাবা ঘুমিয়ে পড়েন। তখনই মদ্যপ অবস্থায় থাকা আর একটি লরির চালক তাঁর বাবার পেটের উপর দিয়ে লরি চালিয়ে দেয়। তিনি ওই লরির চালককে ধরার চেষ্টা করলেও লরিটি পালিয়ে যায়।
এরপর তার বাবাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কোভিড হাসপাতাল বলে চিকিৎসকরা তাঁকে একবার দেখেন নি পর্যন্ত। একপ্রকার বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন বাবা, এমনই অভিযোগ অঙ্কিতের।স্থানীয় এক যুবক জানান, এদিনের ঘটনার পর তিনি দেখেন, ওই রোগী আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে রয়েছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ঠিক বাইরে। তাঁর মতো অনেক স্থানীয় বাসিন্দা চিকিৎসকদের ডাকার জন্য হাসপাতালের ভিতরে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার পর গেটে তালা মেরে দেয়। এইরকম অমানবিক কাজের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধিক্কার জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন