সমকালীন প্রতিবেদন : সারা রাজ্যের পাশাপাশি বনগাঁ পুরসভার প্রসাসনিক বোর্ডেও পরিবর্তন আনা হল। কমানো হল বোর্ডের সদস্য সংখ্যা। প্রশাসনক সহ আগে যেখানে ৬ জনের বোর্ড ছিল, এখন সেই সংখ্যা কমিয়ে ৩ জন করা হল।
মঙ্গলবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের এক নির্দেশিকায় দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রায় ১০০ টি পুরসভার ক্ষেত্রে পুর প্রশাসক বোর্ডের পরিবর্তন করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুর প্রশাসক বদল এবং প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সংখ্যা কমানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও এই পরিবর্তন এসেছে।
বনগাঁ পুরসভার ক্ষেত্রে মাস দুয়েক আগেই পুর প্রশসকের পদে পরিবর্তন আনা হয়। এই পুরসভার এক সময়কার পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেই পুর প্রশাসকের পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গত ১৫ জুন সেক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় উত্ত ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মেন্টর তথা বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। তিনি সহ মোট ৬ জনের প্রশাসনিক বোর্ড এই পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।
গোপাল শেঠ ছাড়াও সেই তালিকায় ছিলেন কৃষ্ণা রায়, জ্যো ৎস্না আঢ্য, হিমাদ্রী মন্ডল, শম্ভু দাস এবং কার্তিক মন্ডল। এবার সেই তালিকাতেও পরিবর্তন আনা হল। মঙ্গলবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায় বনগাঁ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সংখ্যা কমিয়ে ৩ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে পুরনো বোর্ডের থেকে বাদ পরেছেন জ্যোৎস্না আঢ্য, হিমাদ্রী মন্ডল এবং শম্ভু দাস। দলীয় সূত্রে খবর, সামনেই পুর নির্বাচন। তাই তাঁদেরকে নিজেদের ওয়ার্ডে আরও বেশি করে সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বনগাঁর পাশাপাশি গোবরডাঙা পুরসভার প্রশাসক পদে সুভাষ দত্তকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় নতুন প্রশাসক করা হয়েছে সমীর কিশোর নন্দীকে। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ৩ থেকে কমিয়ে ২ করা হয়েছে। হাবড়া পুরসভার নতুন প্রশাসক হয়েছেন নারায়ন সাহা। বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ১৩ থেকে কমিয়ে ৬ করা হয়েছে। অশোকনগর–কল্যানগড় পুরসভার নতুন প্রশাসক হয়েছেন উৎপল তালুকদার। এখানেও প্রশাসক বোর্ডের সদস্য সংখ্যা ৫ থেকে কমিয়ে ৪ করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন