Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১

জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বনগাঁ কংগ্রেস (‌চতুর্থ পর্ব)‌

Bangaon-Congress-in-the-nationalist-movement

জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বনগাঁ কংগ্রেস

 (‌চতুর্থ পর্ব)‌

সুনীলকুমার রায়


মুসলিম লীগের প্রভাবের মধ্যেও তখন বনগাঁয় কংগ্রেস দল ধীরে ধীরে সংঘটিত হতে থাকে। তখন এখানকার ইংরেজ শাসক ছিলেন রিজেল। খুব সুন্দর এবং প্রতিহিংসাপরায়ন। কংগ্রেসের স্বাধীনতা আন্দোলনের ভীত হয়ে তিনি এখানে অত্যন্ত জঘন্যভাবে সাম্প্রদায়িক তাস খেললেন এবং কিছুটা সাফল্য পেলেন।

যেমন ছয়ঘড়িয়ায় রায়বাহাদুর ব্রজেন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকখানায় গড়ে উঠলো 'পল্লী কংগ্রেস ভবন'। এখানে নিয়মিত অন্যান্যদের সঙ্গে আসতেন গৌরমোহন গাঙ্গুলী, বামাচরণ গাঙ্গুলী প্রমুখেরা। পরে গৌড়বাবু প্রফুল্লচন্দ্র সেনের সঙ্গে জেল খাটেন। বামাবাবু নীলকুঠির দেওয়ান হন।

আবার এম এস ক্লাব কে কেন্দ্র করে আরও একটি কংগ্রেস দল তৈরি হয়। এখানে আসতেন হরিদাস চ্যাটার্জী, গৌরমোহন গাঙ্গুলী, বিজয় ঘোষ (টুনে), মহেন্দ্র ঘোষ, বঙ্কিম পাল, ভবশঙ্কর ভট্টাচার্য, বীরেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্তী, প্রিয়নাথ বিশ্বাস, ইন্দ্রনারায়ন চ্যাটার্জী সহ অনেকে। বিজয়বাবু ইংরেজ শাসক লারকেনের দ্বারা নির্মমভাবে অত্যাচারিত হন। এমনকি তাঁর বৃদ্ধা মা–ও অত্যাচারিতা হন।

তখন মতিগঞ্জে মুসলিম লীগপন্থী ওয়াজেদ মিয়া সাহেবের জাগরন প্রেস ছিল। পরবর্তীতে নীরোদ বরণ ঘোষ প্রেস মালিক হওয়ার পর সেখানেও রাজনীতির আখড়া হয়।

১৯৩০ সালে বনগাঁ কংগ্রেসের এক পটপরিবর্তন ও নতুনের সূচনা হয়। বসিরহাটের চারঘাট থেকে ইন্দ্রগোপাল চট্টোপাধ্যায় (পটলবাবু) বনগাঁয় স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য আসেন। কিছুদিনের মধ্যেই পটলবাবুর নিকট আত্মীয় তাঁর বাড়িতে এসে কংগ্রেস দলের দায়িত্ব নিতে বলেন। তখন নাম ছিল 'অভয় আশ্রম' গ্রুপ। 

পটলবাবু রাজি হওয়াতে এখানে অনেকেই আসতে শুরু করেন। যেমন সত্যেন্দ্রনাথ বসু, সুরেন্দ্রনাথ মিত্র, সতীশ ব্যানার্জি, সিরাজুল ইসলাম NLC, এআইসিসি সদস্য বিজয় ব্যানার্জি, বাঃ সলিল মুখার্জি, গোপাল সাধু, বিজয় সরকার, অজিত গাঙ্গুলী সহ বিশিষ্টজনেরা। সর্বসম্মতভাবে প্রফুল্ল ব্যানার্জিকে অবিভক্ত ২৪ পরগনা জেলার কংগ্রেস সভাপতি করা হয়। ইনি পটলবাবুর বেয়াই ছিলেন।.....‌ (‌চলবে)‌

                                         ----------------------------------------



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন