Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১

ডাকাতির ঘটনার পুনর্নির্মাণ পুলিশের

 

সমকালীন প্রতিবেদন : শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত চার দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতির ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। সোমবার প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় গোপালনগর থানার পুলিশ। ঘটনার দিন দুষ্কৃতীরা কিভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছিল, দুষ্কৃতীরা তা প্রশাসনের কর্তাদের দেখায়।

উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার নহাটা এলাকার বাসিন্দা, প্রাক্তন শিক্ষক নিখিল রঞ্জন তালুকদারের বাড়িতে গত ১২ মে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।  তদন্তের স্বার্থে বিচারকের নির্দেশে তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আরও ৪ জনের নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পর ওই ৪ দুষ্কৃতী গাঁ ঢাকা দিয়েছিল। ২ জুন নদীয়ার চাকদা, ধানতলা, গাঙনাপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে যথাক্রমে অলোক বিশ্বাস, সুব্রত বিশ্বাস, শুভঙ্কর চৌধুরি এবং কৃষ্ণপদ মণ্ডল নামে ওই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া সোনার চেন ও আঙটি উদ্ধার হয়। 

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এর আগে তারা দীর্ঘ দিন জেলও খেটেছে। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত থাকলেও ফের তারা তাদের পুরনো পেশায় ফিরে গেছে। 

বিচারকের নির্দেশে তাদেরকে পাঁচদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ ডাকাতির ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার ওই ৪ দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের একজন আধিকারিক এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। তাঁদের উপস্থিতিতে ডাকাতির ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে গোপালনগর থানার পুলিশ। সেখানে দুষ্কৃতীরা আধিকারিকদের দেখায়, সেদিন তারা কিভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছিল।

পুলিশের ভূমিকায় খুশি প্রাক্তন শিক্ষক নিখিল রঞ্জন তালুকদার। এদিন তিনি বলেন, 'পুলিশের সম্পর্কে আমার ধারণাটাই পাল্টে গেল। ডাকাতি হওয়া জিনিস উদ্ধার এবং দুষ্কৃতীরা যে গ্রেপ্তার হতে পারে,তা ভাবতে পারিনি।'‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন