Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

কোহলির ধারাবাহিক সেঞ্চুরিতে কটকের খেলায় টিকিটের হাহাকার

 

Ticket-whine

সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বৈরথ ঘিরে উন্মাদনা এখন চরমে। দুটি ওয়ানডেতে বিরাট কোহলির পরপর দুটি সেঞ্চুরির পর থেকেই গ্যালারিতে জায়গা পাওয়া যেন স্বপ্নের মতো। বিশাখাপত্তনমে তৃতীয় একদিনের ম্যাচের টিকিট প্রথমে বিক্রি হচ্ছিল না। কিন্তু কোহলির ব্যাটে আগুন লাগতেই নিমেষে শেষ হয়ে যায় সব আসন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হলো টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচকে ঘিরে।

৯ ডিসেম্বর কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে সাজছে ভারত–দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টি-টোয়েন্টির মঞ্চ। আর সেই ম্যাচের অফলাইন টিকিটের জন্য শনিবার সকাল থেকেই কার্যত বন্যা বইয়ে দিলেন ক্রিকেটভক্তেরা। ওডিশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আগের দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিল, অনলাইনে বরাদ্দ টিকিট অনেক আগেই শেষ। তাই অফলাইন কাউন্টারই ছিল শেষ ভরসা। সেই ঘোষণার পর ভোর থেকে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন স্টেডিয়ামের বাইরে।

কাউন্টার খোলার মুহূর্তেই শুরু হয় তীব্র ঠেলাঠেলি, দৌড়াদৌড়ি। মুহূর্তে তৈরি হয় বিশৃঙ্খল চিত্র। যেন ডিজিটাল যুগ ছেড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা ফিরে গিয়েছেন পুরনো আমলে, যখন টিকিট পেতে শারীরিক লড়াই ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। কয়েক জন সমর্থক পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে। অবরুদ্ধ অবস্থায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন উপস্থিত অনেকে। 

‌টিকিট জোগাড় করতে না পেরে আগ্রহী দর্শকদের একাংশ স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ জানান। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ ওঠে ওডিশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এর বিরুদ্ধে। বরাবাটি স্টেডিয়ামের প্রায় ৪১ হাজার আসনের অধিকাংশই রাখা হয়েছে সদস্য ও ভিআইপিদের জন্য। সাধারণ সমর্থকদের জন্য নাকি বরাদ্দ মাত্র ২০ হাজার টিকিট।

অপর্যাপ্ত টিকিট বরাদ্দের জেরে শুরু হয়েছে কালোবাজারি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯০০ টাকার টিকিট বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬০০০ টাকায়। আর ৬০০০ টাকার টিকিটের মূল্য পৌঁছে যাচ্ছে ১১ হাজারের কাছাকাছি। স্বাভাবিকভাবেই স্বচ্ছতা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ওডিশা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এর পাশাপাশি কাঠগড়ায় তুলে ধরা হচ্ছে বিসিসিআইকেও।

ক্রিকেট নিয়ে এমন তীব্র আবেগ অবশ্য নতুন নয়, বিশেষ করে ভারতীয় দর্শকদের কাছে। তবু এই বিশৃঙ্খলা স্মরণ করিয়ে দিল, খেলার উত্তাপ যখন মাঠে ওঠার আগেই রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে, তখন কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকে নিরাপত্তা ও সুব্যবস্থার সবথেকে বড় দায়িত্ব। এবার নজর মাঠে। কোহলির ফর্মের আগুন কি ঠান্ডা করবে প্রোটিয়াসরা, নাকি আরও বাড়াবে কটকের অন্তর্ভেদী উন্মাদনা?‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন