সমকালীন প্রতিবেদন : ১১ বছর আগে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী যুবক সুদাম হেমব্রম (৪০)। বহু খোঁজাখুঁজি, থানায় অভিযোগ– সবকিছু সত্ত্বেও তাঁর সন্ধান না মেলায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছিল পরিবার। দীর্ঘ এক দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরলেন তিনি।
বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ এলাকার 'সামাজিক সহায়তা কেন্দ্র' নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য আব্দুল গনি সুদামকে ঘোরাফেরা করতে দেখে কথা বলে জানতে পারেন, যে তিনি ভারতীয়। এরপর সংগঠনটি যোগাযোগ করে পশ্চিমবঙ্গ হ্যাম রেডিওর সঙ্গে। বিষয়টি পৌঁছায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিলের সাংগঠনিক সভাপতি উৎপল রায়ের কাছে।
উৎপলবাবু সুদামের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয় যাচাই করেন এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রক, ওড়িশার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ দুই দেশের হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করেন। সব নথিপত্র যাচাইয়ের পর অবশেষে বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরানো হয় সুদামকে।
এক দশক পর পরিবারের সদস্যকে ফিরে পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন স্বজনেরা। সুদামের ভাইপো সুভাষচন্দ্র হেমব্রম আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাউন্সিল এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এক পরিবারে ফিরেছে সুখের আলো। উৎপল রায়ের প্রচেষ্টা ও দুই দেশের প্রশাসনিক সহযোগিতায় শেষমেশ ঘটল সেই সম্ভাবনাহীন মনে হওয়া ঘরে ফেরা।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন