Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

১৮২ আসনে লড়াইয়ের ঘোষণা হুমায়ুন কবীরের, আইএসএফ–মিম জোটে ভর করে বিধানসভায় বড় বাজির ইঙ্গিত

 

Humayun-Kabir

সমকালীন প্রতিবেদন : তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে আলাদা রাজনৈতিক দল গড়ে রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বড়সড় লড়াইয়ের পথে হাঁটছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। শনিবার নিজের দল 'জনতা উন্নয়ন দল' ‌এর ভবিষ্যৎ রণকৌশল স্পষ্ট করে তিনি জানালেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ১৮২টি আসনে প্রার্থী দেবে তাঁর দল। একই সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর সঙ্গে জোটের কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি, আসাদউদ্দিন ওয়েইসির নেতৃত্বাধীন মিমের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না হুমায়ুন।

হুমায়ুনের দাবি, বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে আটকানোই তাঁর রাজনৈতিক লড়াইয়ের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই বৃহত্তর জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বাংলার রাজনীতিতে একাধিক নতুন শক্তির উত্থান ঘটেছে– বাংলা কংগ্রেস থেকে শুরু করে সিপিআই, সিপিআই থেকে সিপিএম। 

তাঁর কথায়, আগামী দিনে জনতা উন্নয়ন দল ও আইএসএফ একসঙ্গে নতুন রাজনৈতিক অধ্যায় লিখবে। মিম এই জোটে যোগ দিলে তাতেও আপত্তি নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে এই জোট নিয়ে এখনও পর্যন্ত আইএসএফের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মেলেনি। ফলে জোট বাস্তবে কতটা এগোবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, এর আগে হুমায়ুন কবীর জানিয়েছিলেন, ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে লড়বে তাঁর দল এবং অন্তত ৯০টি আসনে জয়ের লক্ষ্য রয়েছে। এমনকি সরকার গঠনে ‘কিংমেকার’ হওয়ার আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শনিবার অবশ্য সেই পরিকল্পনায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলল। এ বার সরাসরি ১৮২টি আসনে লড়াইয়ের ঘোষণা করলেন তিনি। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফল হবে ‘মিরাকল রেজাল্ট’, যা বাংলার অভিজ্ঞ রাজনীতিকদের পক্ষেও আগে সম্ভব হয়নি।

তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর কড়া সমালোচনাও শোনা গিয়েছে হুমায়ুনের মুখে। তিনি অভিযোগ করেন, ওয়াকফ আইন নিয়ে বড় বড় কথা বলে মুসলিম সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধেই তাঁদের মূল লড়াই বলে দাবি করলেও, তৃণমূল, কংগ্রেস বা সিপিএম—কাউকেই বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ হুমায়ুন।

ভোটের প্রচার কৌশলেও আগ্রাসী তিনি। প্রতিদিন তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচারে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সময় বাঁচাতে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহারের কথাও বলেছেন। তবে আসন সমঝোতা ও জোটের চূড়ান্ত রূপরেখা নিয়ে এখনই মুখ খুলছেন না হুমায়ুন। জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্ভাব্য জোটসঙ্গীদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করবেন। তার পরেই সব ঘোষণা করা হবে।

সব মিলিয়ে, বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরির চেষ্টা করছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর ঘোষণায় কতটা বাস্তবায়ন হয়, তা নির্ভর করবে আসন্ন দিনগুলিতে জোট রাজনীতির গতিপ্রকৃতির উপরই।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন