সমকালীন প্রতিবেদন : নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। শনিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী দু’তিন দিন এই পারদপতনের ধারা অব্যাহত থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
ইতিমধ্যেই শহরে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা—দুই-ই কমেছে লক্ষণীয়ভাবে। বৃহস্পতিবার রাতের তাপমাত্রা যেখানে ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, সেখানে শুক্রবার তা নেমে দাঁড়িয়েছে ২১.৬ ডিগ্রিতে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমতে পারে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাতেও পতনের প্রবণতা স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার তা কমে হয়েছে ৩০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদদের মতে, পূর্ব-মধ্য ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানকারী নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি রায়নার উপকূলে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে রয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এই সমস্ত আবহাওয়াগত অবস্থার ফলেই রাজ্যে তাপমাত্রার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এ বছর দীর্ঘস্থায়ী শীতের ইঙ্গিত আগেই দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কিছুদিনের জন্য তাপমাত্রা পতনের হার কমতে পারে। সেই বাধা কেটে গেলে ঠান্ডা আরও জাঁকিয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
শুক্রবার পুরুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চার দিনে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি। আগামী সপ্তাহে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে নেমে যেতে পারে।
এদিকে উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাড়বে কুয়াশার দাপট। যদিও দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, শুষ্ক আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে।
এ বছর বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি হওয়ায় অনেকে মনে করছেন, সেই নিয়মেই এবার শীতও হতে পারে বেশি প্রকট। গত কয়েক বছর শীতপ্রেমীদের প্রত্যাশা পূরণ না হলেও, চলতি মরসুমে ‘জাঁকিয়ে শীত’ পড়ার প্রবল সম্ভাবনা—এমনই ইঙ্গিত বিশেষজ্ঞদের। এখন দেখার, শীতবিলাসীদের অপেক্ষার প্রতিফলন আসে কি না ডিসেম্বরের শুরুতেই।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন