সমকালীন প্রতিবেদন : নবী মুম্বইয়ে একদিন আগে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসছিল ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু পরের দিনই যেন সেই আনন্দে জল ঢেলে দিল মেলবোর্ন। বৃহস্পতিবার জেমাইমা-হরমনদের জয়ে উজ্জ্বল ভারতীয় ক্রিকেট, আর শুক্রবার পুরুষ দলের চরম আত্মসমর্পণ। এক সপ্তাহে দু’বার অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্ন অধরাই রইল টিম ইন্ডিয়ার।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর শুক্রবার মেলবোর্নে ছিল ভারতের জন্য বড় পরীক্ষা। কিন্তু সেই পরীক্ষায় সূর্যকুমার যাদবের দল সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ব্যাটে-বলে সব দিকেই ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স। মাত্র ১২৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছে ভারতের ইনিংস, আর ১৩তম ওভারের আগেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ৪০ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল মিচেল মার্শের নেতৃত্বাধীন দল।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। তৃতীয় ওভার থেকেই শুরু হয় উইকেট পতনের মিছিল। ওপেনার শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন, অধিনায়ক সূর্যকুমার, তিলক বর্মা– একে একে সবাই ফিরেছেন ব্যর্থ হয়ে। অক্ষর পটেল এবং কুলদীপ যাদবও ভরসা জোগাতে পারেননি। পুরো ইনিংসে অভিষেক শর্মা ও হর্ষিত রানা কিছুটা লড়াইয়ের মুখ দেখাতে পারেন।
তাঁদের পর আর কেউ ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি। ৮ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ভারত। অভিষেক ৩৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংস গড়েন। অন্যদিকে, হর্ষিত ৩৩ বলে ৩৫ রান করেন। মাত্র ১২৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ঝোড়ো সূচনা করেন দুই অজি ওপেনার মিচেল মার্শ ও ট্র্যাভিস হেড। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ৫০ পার করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৩ ওভারেই ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজ শুরুর আগে প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, “আমাদের দল ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবে।” কিন্তু ভয়ডরহীন ক্রিকেট আর বেপরোয়া ক্রিকেটের সীমারেখা কোথায়, সেটাই হয়তো বোঝেননি অনেকেই। ৩২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও কেউ পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেননি। একের পর এক আনাড়ি শট, দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং।
অর্শদীপ সিংহকে বেঞ্চে রেখে হর্ষিতকে খেলানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বল হাতে তিনি ২ ওভারে দেন ২৭ রান। এক দিক থেকে বুমরা চাপে রাখলেও অন্য প্রান্তে হর্ষিত সেই চাপ ভেঙে দেন। অর্শদীপ থাকলে হয়তো প্রতিরোধ কিছুটা বাড়ত– এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এই ম্যাচ ভারতকে স্পষ্ট বার্তা দিল– আত্মতুষ্টি মারাত্মক। র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দল হয়েই যথেষ্ট নয়; কৌশল, শৃঙ্খলা ও ধৈর্যও সমান জরুরি।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন