Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

৯ ডিসেম্বর প্রকাশ পাবে ভোটার তালিকার খসড়া: কারা থাকবেন তালিকায়, কারা বাদ পড়বেন? স্পষ্ট নির্দেশ কমিশনের

 

Draft-voter-list

সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হবে ভোটার তালিকার খসড়া সংস্করণ। তার আগে নিরলসভাবে কাজ চালাচ্ছেন বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও)। কমিশন জানিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব ফর্ম আপলোড ও ডিজিটাইজেশন শেষ করতেই হবে, নইলে পরে পুরো প্রক্রিয়াই ব্যাহত হবে।

২৫ নভেম্বরের মধ্যেই অ্যাপে ফর্ম আপলোডের কাজ শেষ করতে হয়েছে বিএলওদের। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে সমস্ত ফর্ম ডিজিটাইজেশন সম্পূর্ণ করার জন্য। সম্প্রতি জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠকে এই সময়সীমা আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচনী আধিকারিক জ্ঞানেশ ভারতী। কাজের চাপ যতই থাকুক, নির্ধারিত সময়ে ডিজিটাইজেশন শেষ না হলে পরবর্তী ধাপগুলিতে সমস্যা তৈরি হবে বলে সতর্ক করেন তিনি।

খসড়া তালিকায় কারা থাকবেন? কমিশন জানাচ্ছে– নির্ধারিত সময়ে যাঁরা ফর্ম জমা দিয়েছেন, তাঁদের নাম থাকবে খসড়া তালিকায়। সংশ্লিষ্ট বুথে এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করা হবে। মৃত বা বিভিন্ন কারণে বাদ পড়া ভোটারদের জন্য আলাদা তালিকা প্রকাশিত হবে। 

এবারের সংশোধনে বেশ কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে বাদ দেওয়া হবে নাম। যেমন– বিএলওরা বাড়ি গিয়ে ফর্ম ফিল আপের সময় অনেক জায়গায় মৃত ভোটারের নামেও ফর্ম পূরণ হয়েছে। এই তথ্য ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে জমা পড়েছে। মৃতদের আলাদা তালিকা তৈরি করবে কমিশন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ি গিয়ে দেখা গেল যে ব্যক্তি মৃত, সেই নাম চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া হবে।

২০২৫ সালের তালিকায় নাম থাকা কোনও ভোটারকে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাওয়া না গেলে তাঁর নামও বাদ যাবে। যাঁদের ডবল এন্ট্রি রয়েছে– একই কেন্দ্র বা আলাদা কেন্দ্রে দু’জায়গায় নাম– সেগুলিও বাতিল করা হবে। কমিশন আগেই জানিয়েছে, একাধিক এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। 

খসড়া তালিকা প্রকাশের পরই শুরু হবে মূল যাচাই। ৯ ডিসেম্বরের পর ঝাড়াই–বাছাইয়ের কাজ শুরু হবে। ভোটারদের ম্যাপিং করা হবে; কোথাও ম্যাচ না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হিয়ারিং নোটিস পাঠানো হবে, যা পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। ২০০২ সালের তালিকায় যাঁদের নাম নেই কিন্তু নতুন করে তথ্য জমা দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন মনে করলে ইআরও তাঁদের ডেকে পাঠাতে পারে।

হিয়ারিং-এ উপস্থিত হলে ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি বৈধ প্রমাণপত্র দেখালেই নাম অন্তর্ভুক্ত হবে ফাইনাল তালিকায়। যে পরিবারে ২০০২ সালের তালিকায় কারও নাম নেই, সেই পরিবারের সদস্যদেরও হিয়ারিং-এ ডাকা হবে।

প্রতিটি বুথের বাইরে ভোটার সংখ্যা টাঙিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণত এক একটি বুথে ১২০০ জনের বেশি ভোটার থাকা উচিত নয়। এসডিও ও বিডিও অফিসের বাইরেও এই তালিকা প্রদর্শিত হবে। কমিশনের ওয়েবসাইটেও থাকবে আপডেটেড তালিকা।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন