সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ পুরসভার অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল। বৃহস্পতিবার সকালে পুরসভার ঠিকাদাররা বকেয়া বিল পরিশোধের দাবিতে পুরসভা চত্বরে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পারিশ্রমিক তাঁরা পাচ্ছেন না। একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে পুরপ্রধান গোপাল শেঠের কাছে আবেদন জানানো হলেও, প্রতিশ্রুতি মিলেছে, কিন্তু টাকা মেলেনি।
অভিযোগ, পুর প্রশাসনের তরফ থেকেও কোনও সদুত্তর মেলেনি। বকেয়া টাকা না মেটা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা। অনেক ঠিকাদারই ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করেছে। তাদেরকে ব্যাঙ্কের সুদ গুনতে হচ্ছে। ফলে তাদের অবস্থা আরও কঠিন। আর তাই এখন আন্দোলন ছাড়া তাঁদের আর কোনও পথ খোলা নেই।
এদিকে, দলীয় নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও পদত্যাগ করেননি পুরপ্রধান গোপাল শেঠ। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে পদত্যাগের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। ফলে, প্রশাসনিক অনিশ্চয়তার মধ্যে কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে পুরসভার কাজকর্ম।
ঠিকাদারদের একাংশের আশঙ্কা, পুরপ্রধান পরিবর্তনের পর তাঁদের দাবির বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। তাঁদের বক্তব্য, “বর্তমান পুরপ্রধানই যখন টাকা দেননি, নতুন পুরপ্রধান এলে আমরা কার কাছে যাব?” আন্দোলনকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পুরসভার কাছে টাকা পাওনা রয়েছে। বকেয়ার পরিমান দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা।
এই পরিস্থিতিতে পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুরেশ চন্দ্র হীরা জানান, “পুরসভার বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঠিকাদারদের দাবি নিয়ে আলোচনা করা হবে।” অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রশাসনিক জটিলতা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে বনগাঁ পুরসভায় ক্রমেই বাড়ছে উত্তেজনা।







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন