Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

কূটনৈতিক টানাপোড়েনে স্থগিত ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর

 

Bangladesh-tour

সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দিল্লি–ঢাকার সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে আপাতত সে দেশে কোনও জাতীয় দলই পাঠাচ্ছে না ভারত। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহেই ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের নির্ধারিত সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই একই পথে হাঁটল মহিলা দলও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মাটিতে কোনও সিরিজ খেলতে যাচ্ছে না ভারত।

ডিসেম্বরে তিনটি এক দিনের এবং তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল হরমনপ্রীত কৌর ও তাঁর দলের। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে ঐতিহাসিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এটি হতো ভারতের মহিলা দলের প্রথম বিদেশ সফর। তাই সিরিজটি শুধু প্রতিযোগিতার দিক থেকেই নয়, ভারতীয় ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। 

কিন্তু দুই সীমান্তের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় সেই সফর অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যদিও বিসিসিআই কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বোর্ডের এক পদাধিকারী জানিয়েছেন—বাংলাদেশে খেলতে যাওয়ার জন্য সরকারের তরফে অনুমতি মেলেনি। 

কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা মূল্যায়নেই জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি খেলোয়াড়দের জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে সিরিজ স্থগিত করাই বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। ভবিষ্যতে এই সিরিজ পুনঃনির্ধারণ করা হবে কি না, সেই নিয়েও এখনও অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে। বোর্ডের ওই কর্তার কথায়, “পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয়।”

বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও। দিল্লি-ঢাকার মধ্যে বিশ্বাসের সংকট তৈরি হয়েছে। কূটনৈতিক উত্তেজনার এই সময়ে ভারত কোনও ধরনের ঝুঁকি নিয়ে খেলোয়াড় পাঠাতে নারাজ। দেশের ক্রীড়া মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক উভয়ের সম্মিলিত মূল্যায়নেই জানানো হয়—বাংলাদেশে ভারতীয় খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখনই সম্ভব নয়। বিসিসিআইও সরকারি মূল্যায়নের সঙ্গে একমত হয়ে সফর স্থগিত করার পথেই হাঁটে।

ঢাকায় আয়োজিত এশীয় ক্রিকেট কাউন্সিলের সাধারণ সভাতেও উপস্থিত হয়নি ভারতীয় বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি। রাজনৈতিক চাপানউতোরের প্রভাব সরাসরি পড়ছে ক্রীড়াক্ষেত্রে, যা বহু দশক ধরে দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি-এর তরফে আপাতত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, ঢাকা–দিল্লি সম্পর্কের বর্তমান অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ভবিষ্যতে সিরিজটি আদৌ অনুষ্ঠিত হবে কি না—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ক্রীড়া মহলেই।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন