সমকালীন প্রতিবেদন : হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে শতাধিক মহিলা, তৃণমূলের আক্রান্ত মহিলা কাউন্সিলরেরা বনগাঁ থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন। তাদের হাতে ছিল দলীয় পতাকা ও মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। মহিলা কাউন্সিলরদের বক্তব্য, “আমরা তৃণমূল করি, তার উপর আমরা কাউন্সিলর। আমাদের ওপরে যেভাবে হামলা হচ্ছে, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”
কাউন্সিলরদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। তিনি মনে করেন, দলগতভাবে নয়, ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে গোপাল শেঠকে চিঠি দিয়ে পদত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি, গোপাল শেঠের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে জোর করে কাউন্সিলরদের সই করানোর চেষ্টা হয়েছে। আর তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন কয়েকজন মহিলা কাউন্সিলর।
এদিন তিনি তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, 'বিশ্বজিৎ দাস জেলার সভাপতি। আর আমি চেয়ারম্যান। দলের পক্ষ থেকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে জেলায় দল পরিচালনার ক্ষেত্রে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পরিচালনা করা যায়। কিন্তু দলীয় প্যাডে আমার নাম নেই। শুধু জেলার সভাপতির নাম রয়েছে। আর তিনি একার মতো বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।'
এদিনের হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলর দেবদাস মন্ডল বলেন, “পুরসভা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ভেতরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। পুরপ্রধান গোপাল শেঠের পক্ষের কাউন্সিলরদের বাড়িতে হামলা হচ্ছে। শাসকদলের নেতাই নিরাপত্তা পাচ্ছেন না, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?”
এক রাতে ছ’টি কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বনগাঁয় তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অনাস্থা প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিবাদ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কাউন্সিলরদের হুশিয়ারী, “দোষীদের গ্রেফতার না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।”







কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন