সমকালীন প্রতিবেদন : রাগ এবার মাথার উপর উঠবে না আর। ভাবছেন তো? তাহলে কথায় কথায় রেগে গেলে কী ভাবে নিজেকে সামলাবেন? বা ঠিক সেই সময় আপনি কি করবেন? একটা কৌশল শেখাবো। তাতেই হবে কামাল। বিরাট কোহলির স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার স্টাইলটা শিখবেন আপনি? আপনি জানেন কি অনুষ্কা শর্মা শিখছেন মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশল। সব দোষ কি মস্তিষ্কের? আত্মসংযম খুব বড় বিষয়। জেনে নিন নিজেকে বোঝানোর কাজটা অন্য কেউ করবে না। করতে হবে আপনাকেই। কিভাবে? শিখুন আজকের প্রতিবেদন থেকে।
অনেক সময় দেখবেন পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে, অন্যের কথা শেষ হওয়ার আগেই শুরু হয়ে যায় বাক্য বিনিময়। এর জন্য কম বিড়ম্বনাতেও পড়তে হয় না। এটা অনেকেই করেন যে অন্যের কথা শোনার সাথে সাথে 'রিঅ্যাকশন' বা প্রতিক্রিয়া দিয়ে ফেলেন। কেউ আবার সামান্য কথাতেই রেগে যান। দু চার কথা শুনিয়ে দেন। তাতে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কথা বলাও অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যায়। পড়ে গিয়ে হয়তো আপনার বোধদয় হলো। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি এই সমস্যা নিয়েই নিজের বিড়ম্বনার কথাই জানালেন বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। সঙ্গে জানিয়েছেন কিভাবে ইতিবাচক বদল এসেছে তাঁর জীবনে। এটা তো ঠিক বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক পরিণত হয়। আচরণে বদল আসে। আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। বিচারবোধ দিয়ে কাজ করতে হয় মস্তিষ্ককে। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বা আত্মসংযম থাকে না। তাঁরাই হঠাৎ করে সামান্য কথায় বাড়তি প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ফেলেন। বিভিন্ন কারণে সেটা হতে পারে। কি সমস্যা হচ্ছে সেটা তো আপনি জানেন, কিন্তু কি কারণে হচ্ছে?
ভালো করে বুঝুন, মনেরও নিজস্বতা আছে। তার তল পাওয়া সব সময় সহজ হয় না। আবেগপ্রবণ আচরণ তাই বললেই বাগে আনা যায় না বা চাইলেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। কোন কথায় প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করা দরকার, কোনটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত, তা অনেক সময় হরমোনের দ্বারাও নিয়ন্ত্রিত হয়। কোন বিষয়ে কোন আচরণ করা হবে, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নিরপত্তার বোধও।
সব থেকে বড় কথা কোনও মানুষ তাঁর আচরণ এক দিনে বদলে ফেলতে পারেন না। তাই আগে নিজেকে সময় দিন। কিছু অভ্যেসে বদল আনুন। লাইফ স্টাইল বদলান। দৈনন্দিন জীবনে প্রাণায়ম, ধ্যান অভ্যাস করুন, এতে মন সংযত থাকে। তাতে দেখবেন আবেগ নিয়ন্ত্রণ করাও তুলনামূলক সহজ হবে। ধৈর্যশক্তি, সহনশীল মনোভাব নিজের ভেতর তৈরি করতে হলে অপরিসীম চেষ্টার প্রয়োজন।
হ্যাঁ হতেই পারে আপনার কোনো কারণে রাগ হয়েছে। তখন দুম করে কিছু একটা বলে ফেলতে মন চাইছে। ঠিক সেই সময় নিজেকে সংযত করুন। সামলে নিন। নিজেকে বোঝান, সব সময় চিৎকার করে কথা বললেই কাজ হয় না, বরং শান্ত থাকা দরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে, সেই মুহূর্তে ওই জায়গা থেকে প্রয়োজনে সরে যান।
কারও কথায় রাগ হলে তৎক্ষণাৎ দু-চার কথা শুনিয়ে না দিয়ে, তৃতীয় ব্যক্তিকে রাগের কথা বলা যেতে পারে। পাশাপাশি নিজেকে এটাও বোঝান, না ভেবে চিন্তে কথা বলার ফলাফল কখনো ভাল হয় না। অন্তত সেটা ভেবে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।









কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন