সমকালীন প্রতিবেদন : “যে সমালোচনা হয়েছে সেগুলো থেকে শিখব। সমালোচনা হবেই। আমার লক্ষ্য ফোকাস থাকা।” — জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা এই মন্তব্য যেন আজকের তরুণ প্রজন্মের মানসিকতারই প্রতিফলন। সমালোচনা থেকে দূরে সরে না গিয়ে বরং তাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করার সাহসই দেখিয়েছেন ভারতের তরুণ ক্রিকেটার যশস্বী জয়সওয়াল।
আমাদের সমাজে সমালোচনা যেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কাজ হোক বা ব্যক্তিগত জীবন—কোনও ক্ষেত্রেই এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। এই তরুণও ব্যতিক্রম নন। তবে তাঁর বক্তব্য, সমালোচনায় ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই, বরং সেখানে লুকিয়ে থাকে শিক্ষা। সেখান থেকেই তিনি খুঁজে নেন এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।
যশস্বী বলেন, “মানুষ যত কিছুই বলুক, যদি আমি নিজের লক্ষ্যে অটল থাকি, তবে তারাই একদিন আমার কাজের প্রশংসা করবে। তাই সমালোচনা আমার জন্য বাধা নয়, বরং শক্তি।”
জীবনের ব্যক্তিগত অধ্যায়ে তাঁর অভিজ্ঞতা যেন আরও আলাদা। যশস্বী অকপটে জানান, কখনও কোনও বান্ধবী ছিল না। মেয়েদের কাছ থেকে মনোযোগ পাননি বলেই তাঁর বিশ্বাস। ডেটে যাওয়ার সুযোগও জীবনে আসেনি। যশস্বীর মতে, “সঠিক সময়ে সঠিক মানুষ এলে সম্পর্ক হবে। তবে সেটা নিয়েই পড়ে থাকলে লক্ষ্যপানে এগোনো যায় না।”
তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লক্ষ্য অর্জন। প্রতিযোগিতামূলক এই সময়ে ফোকাস থাকা ছাড়া সাফল্যের বিকল্প নেই। তাই সমালোচনা কিংবা সামাজিক প্রত্যাশার চাপ তাঁকে বিচলিত করতে পারে না। যশস্বীর বিশ্বাস, আজকের দিনে যারা স্বপ্ন পূরণ করতে চায়, তাদের প্রথম শর্ত হলো ধৈর্য রাখা এবং মনোযোগী থাকা।
এই অভিজ্ঞতা শুধু তাঁর নয়, বরং অনেক তরুণ-তরুণীর জীবনদর্শনের প্রতিফলন। বর্তমানে অনেকেই সম্পর্ক বা সামাজিক স্বীকৃতির বাইরে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার, পড়াশোনা বা স্বপ্নকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাঁদের কাছে সাফল্যই আসল প্রাপ্তি।
যশস্বীর অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসে বৃহত্তর সামাজিক বার্তাও। প্রথাগত ধারণা—যেমন বয়স বাড়লেই সম্পর্কে জড়াতে হবে, কিংবা মেয়েদের মনোযোগ পেতেই হবে—সবই আসলে সমাজের চাপ। বাস্তবে, প্রত্যেকের জীবন আলাদা, প্রত্যেকের লক্ষ্য ভিন্ন।
এই তরুণের জীবনদর্শন স্পষ্ট করে দিচ্ছে— সমালোচনা এড়ানো সম্ভব নয়, তবে তা থেকে শিক্ষা নেওয়া সম্ভব। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার অভাব কোনও দুর্বলতা নয়। লক্ষ্য অর্জনে ফোকাস থাকলেই জীবনে জয় অনিবার্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন