সমকালীন প্রতিবেদন : প্রাথমিক স্তরে ইংরাজী বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার দাবিকে সামনে রেখে ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হয় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য বৃত্তি পরীক্ষা। এবছরও গোটা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে সেই পরীক্ষা। মোট ৫ টি বিষয়ের উপর এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে বাম আমলে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের মাতৃ ভাষায় শিক্ষাদানের নামে ইংরাজি বিষয়টি তুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক স্তর থেকে। এরপর এক সময় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ–ফেল প্রথাও তুলে দেওয়া হয়। আর তারই বিরুদ্ধে সেইসময় প্রতিবাদে সরব হন রাজ্যের বেশ কয়েকজন ভাষাবিদ্, শিক্ষানুরাগী।
ইংরাজির প্রয়োজনীয়তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং পাশ–ফেল প্রথা ফের চালু করার দাবিকে সামনে রেখে ১৯৯০ সালে গঠিত হয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ, পশ্চিমবঙ্গ। এই সংগঠনের উদ্যোগে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের মূল্যায়ন করতে এরপর ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয় বৃত্তি পরীক্ষা। প্রথম বছর ২০ হাজার জন পড়ুয়া এই পরীক্ষায় বসে সারা রাজ্যে।
বনগাঁ আঞ্চলিক কেন্দ্রে ১৯৯৮ সাল থেকে এই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়। প্রথম বছর এই কেন্দ্র থেকে মাত্র ৬৫ জন পড়ুয়া পরীক্ষা দেয়। ধীরে ধীরে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এবছর এই আঞ্চলিক কেন্দ্রের অধীনে বনগাঁ এবং গোপালনগর পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ৬০০ জন পড়ুয়া পরীক্ষা দিচ্ছে। সারা রাজ্যে এই সংখ্যা ১ লক্ষ ৭০ হাজার।
এই পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে গোটা রাজ্যে কয়েক হাজার শিক্ষক, শিক্ষিকা, বেকার যুবক–যুবতী যুক্ত রয়েছেন বিনা পারিশ্রমিকে। সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, গত বছর গোটা রাজ্য মিলিয়ে পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রায় ৮৫০ জন পরীক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এবছরও সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ৪০ দিনের মধ্যে এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ বিদ্যালয়ের মাধ্যমে মার্কশিট দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
Very fine
উত্তরমুছুন