Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

দীপাবলির আনন্দে সাবধানতা জরুরি, সুরক্ষায় রাখুন পোষ্য ও পথপশুদের

 

Joy-of-Diwali

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌দীপাবলির উৎসব মানেই উজ্জ্বল আলো, রঙিন বাতি, ঝলমলে সাজ আর আনন্দে ভরা পরিবেশ। কিন্তু এই আনন্দের আবহেই লুকিয়ে থাকে এক অন্য বিপদ—বিপজ্জনক শব্দবাজি ও ধোঁয়া। এর জেরে যেমন মানুষ অসুবিধায় পড়েন, তেমনই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে অসংখ্য পোষ্য ও পথপশু। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎসবের এই সময় প্রাণীদের সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি।

শব্দবাজির উচ্চ আওয়াজ প্রাণীদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। পশুচিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আকস্মিক শব্দ ও আলোর ঝলকে অনেক পোষ্য ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় বা নিজেদের আঘাত করে ফেলে। আতঙ্কের কারণে তাদের শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়, হৃদ্‌যন্ত্রে চাপ পড়ে এবং স্নায়বিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বাজির ধোঁয়া থেকেও ফুসফুসে জ্বালা, শ্বাসকষ্ট ও চোখে জ্বালা-পোড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, দীপাবলির সময় পোষ্যদের ঘরের ভিতরে রাখা সবচেয়ে নিরাপদ। জানালা ও দরজা বন্ধ রাখলে বাইরে থেকে শব্দ ও ধোঁয়ার প্রভাব কিছুটা কমানো যায়। পোষ্য যদি আতঙ্কিত হয়, তাকে জোর করে শান্ত করানোর চেষ্টা না করে তার নিজের পছন্দমতো জায়গায় থাকতে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা বাঞ্ছনীয়।

শুধু ঘরের প্রাণী নয়, এই সময় বিপদের মুখে পড়ে পথপশুরাও। আতঙ্কে তারা রাস্তার দিকে ছুটে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় আহত হতে পারে, কিংবা এলাকা ছেড়ে হারিয়ে যেতে পারে। তাই সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রাণীপ্রেমীরা। অনেকেই পথপশুর গলায় ‘রিফ্লেকটিভ আইডি কলার’ পরিয়ে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে তারা পথ হারালেও সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। 

পাশাপাশি, এলাকায় থাকা পশুদের জন্য পর্যাপ্ত জল ও খাবারের ব্যবস্থা রাখা এবং আঘাতপ্রাপ্ত পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার দিকে নজর দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। উৎসব মানেই আনন্দ, কিন্তু সেই আনন্দ যেন কারও জীবনে আতঙ্কের কারণ না হয়—এই দায়িত্ব আমাদের সকলের। কয়েকটি ছোট সতর্কতা, যেমন বাজি থেকে দূরে থাকা, পোষ্যদের নিরাপদ স্থানে রাখা এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা জানা থাকলে, দীপাবলির আলো সত্যিই সবার জীবনে আলো ছড়াবে—মানুষেরও, প্রাণীরও।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন