Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ব্যাট হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রোহিত-কোহলি!

 

Rohit-Kohli

সমকালীন প্রতিবেদন : পারলেন না রোহিত শর্মা, পারলেন না বিরাট কোহলি। পারলেন না প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে তুলতে। সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা দুই মহাতারকা ব্যাট হাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। পার্থের অপ্টাস স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের ভরাডুবির নেপথ্যে মূলত দায়ী রোহিত-কোহলির ব্যর্থতা। মাত্র ২২ বল স্থায়ী হয় তাঁদের যুগল ইনিংস। রোহিত করেন ১৪ বলে ৮ রান, আর কোহলি ফেরেন শূন্য রানে।

রোহিত শুরুতে কিছুটা সময় নিয়ে সেট হতে চাইছিলেন। কিন্তু তাঁর ব্যাটে-বলে সংযোগ হচ্ছিল না। সাবধানী ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করলেও অজি পেসারদের বাউন্সে বারবার সমস্যায় পড়েন তিনি। চতুর্থ ওভারে জশ হ্যাজেলউডের একটি উঁচু বাউন্সার ব্যাটের কিনারা ছুঁয়ে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ম্যাথিউ রেনশর হাতে জমা পড়ে। রোহিতের এই আউট নিয়েই ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী বলেন, “বল একটু বেশি লাফিয়ে ওঠায় সমস্যায় পড়লেন রোহিত। হয়তো এখনও অস্ট্রেলিয়ার পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেননি।” 

তবে সমালোচকদের যুক্তি, রোহিতের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটারের কাছে এই যুক্তি আর খাটে না। এরপর ব্যাট হাতে নামেন বিরাট কোহলি। একই স্টেডিয়ামে, যেখানে গত বছর টেস্টে শতরান করেছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন সেই ছন্দের ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না। মিচেল স্টার্কের অফ-স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে কুপার কনোলির হাতে ধরা পড়ে তাঁর উইকেট। 

আট বল টিকেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। এটি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাঁর প্রথম “ডাক” বা শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড। অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার রোহিত, কোহলির ব্যর্থতা ঘিরে ফের শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রাক্তন পেসার বরুণ অ্যারন সরাসরি পরামর্শ দিয়েছেন—ধোনির পথ অনুসরণ করুন। তাঁর মতে, যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ঘরোয়া সাদা বলের টুর্নামেন্ট—সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলেছিলেন, তেমনই কোহলি ও রোহিতেরও ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে গিয়ে ফর্ম পুনরুদ্ধার করা উচিত। 

সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠের সিরিজের মাঝেই কোহলি ও রোহিত অন্তত তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেন বিজয় হাজারে ট্রফিতে, যাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আগে ছন্দ ফিরে পাওয়া যায়। তবে আপাতত বাস্তবতা একটাই—রোহিত-কোহলির ব্যাটে সেই পুরনো টাচ নেই। অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি স্পষ্ট। সামনে ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে জায়গা ধরে রাখতে চাইলে এই দুই কিংবদন্তির এখনই ঘুরে দাঁড়ানো প্রয়োজন। ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকেরা তাই অপেক্ষায়—ধোনির মতোই কি তাঁরা ফের গর্জে উঠবেন ঘরোয়া মঞ্চ থেকেই?‌






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন