Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

বাংলাদেশে স্ত্রী রেখে ভারতে এসে ফের বিয়ে! জাল নথি তৈরি করে বসবাস, গাইঘাটায় গ্রেপ্তার যুবক

 

Fake-documents

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌গাইঘাটায় এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে অবৈধভাবে বসবাস এবং দ্বিতীয়বার বিয়ের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গাইঘাটা থানায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগে নাম রয়েছে মোট আটজনের। মূল অভিযুক্তের নাম হরিচাঁদ মণ্ডল। বর্তমানে তাঁরা গাইঘাটার মোরালডাঙা গ্রামে বসবাস করলেও, তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকার ঝিটকি গ্রামে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

অভিযোগকারিণী তহমিনা খাতুনের দাবি, তিনি হরিচাঁদ মণ্ডলের প্রথম পক্ষের স্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও ভারতীয় নাগরিকের ছদ্মবেশে বসবাস করছে। তহমিনার অভিযোগ, হরিচাঁদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশের পর স্থানীয়ভাবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ডসহ বিভিন্ন ভারতীয় পরিচয়পত্র জালভাবে তৈরি করে। এর পর থেকেই তারা অবৈধভাবে গাইঘাটায় বসবাস শুরু করে।

অভিযোগ অনুযায়ী, ভারতে এসে হরিচাঁদ দ্বিতীয়বার বিয়ে করে পূজা রায় নামের এক বাংলাদেশি মহিলাকে, যিনি নিজেও ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফিরে যাননি এবং বর্তমানে অবৈধভাবে ভারতে অবস্থান করছেন।

তহমিনা খাতুন আরও অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় কয়েকজন — দেবব্রত সরকার, রামপ্রসাদ সরকার, রেখা রানি সরকার ও গৌতম ঢালী অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে ভারতীয় নথি তৈরি করতে সাহায্য করেছে এবং তাঁদের আশ্রয় দিয়েছে।

অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি এর আগেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, কিন্তু অভিযুক্তরা তাঁকে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এইবার তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ফের তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের ভারতীয় নাগরিকত্ব সংক্রান্ত সমস্ত নথি যাচাই করা হচ্ছে এবং তাদের সীমান্ত পারাপারের রেকর্ডও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাইঘাটা থানার একটি বিশেষ দল ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তদন্তে নেমেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের তৈরি কিছু পরিচয়পত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা চলতে পারে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন— সীমান্ত এলাকায় কীভাবে এত সহজে বিদেশি নাগরিকরা নথি জাল করে ভারতীয় পরিচয়পত্র পেতে পারে, তার উত্তর দেবে কে?‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন