সমকালীন প্রতিবেদন : সরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন পড়ানো নিষিদ্ধ। ২০১৮ সালেই কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল। তবু অভিযোগ, নিয়ম অমান্য করে এখনও রাজ্যের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা টিউশন পড়াচ্ছেন। এ নিয়েই কড়া অবস্থান নিল আদালত। কতজন সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা এখনও প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তলব করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রাইভেট টিউটর অ্যাসোসিয়েশনকে অভিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা আদালতে জমা দিতে হবে। মামলাকারী সংগঠনের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর বক্তব্য, “২০১৮ সালেই গৃহশিক্ষকতা বা টিউশন পড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারি শিক্ষকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে সেই নির্দেশ কার্যত উপেক্ষিতই রয়েছে। এখনো অনেক শিক্ষক প্রকাশ্যে টিউশন পড়াচ্ছেন।”
এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত অবমাননার মামলা গড়ে ওঠে। গত বছর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল ২০১৮ সালের নির্দেশিকা কার্যকর করতে হবে। এমনকি স্কুল পরিদর্শকদেরও জানানো হয়েছিল, টিউশন পড়ানো শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তবে অভিযোগ, রাজ্যের তরফে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্দেশ শুধু ফাইলে আটকে থেকে গেছে। এর ফলেই স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ টোল খুলে টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন, বলেই দাবি মামলাকারীদের। আদালতের নতুন নির্দেশে এবার কতজন সরকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা আসলে এই কাজে যুক্ত, সেই সত্য প্রকাশ্যে আসার অপেক্ষা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন