সমকালীন প্রতিবেদন : ৫ হাজার রোজগারেও আপনি হবেন কোটিপতি! শুধু জানতে হবে ৪০-৩০-২০-১০ ট্রিক! এটা কি? কিভাবে এই ট্রিক কাজে লাগিয়ে টাকা সেভ করবেন ? কিভাবে সেই সেভ করা টাকা আপনাকে করে তুলবে কোটিপতি? কি মানবেন, আর কোনটা ভুলেও করবেন না। আসুন জেনে নেওয়া যাক।
মাসে রোজগার যাই হোক না কেন সঞ্চয় অত্যন্ত জরুরি। আর এই সঞ্চয়ই আপনার সামনে খুলে দিতে পারে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নের দরজা। যার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে ৪০-৩০-২০-১০ রুল। এই রুল মেনে চললে প্রতিমাসে আপনার খরচ এবং সঞ্চয়ের মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকতে বাধ্য। তাহলেই আপনার লক্ষ্য পূরণ অনেকটাই সহজ হয়ে উঠবে। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, ঠিক কিভাবে প্রতিদিনের খরচের মধ্যেই সঞ্চয় করবেন।
কোনও বিজ্ঞাপণ দেখে সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিনে ফেলা চলবে না। এরজন্য কিছুটা সময় নিতে হবে। ৩০ দিন সময় নিন। এরপরও যদি দেখেন জিনিসটা কেনা জরুরি তবে কিনে ফেলুন। আর ৩০ দিন পর যদি জিনিসটা সম্পর্কে আপনার আগ্রহ না থাকে তাহলে বুঝতে হবে ওটা আপনার প্রয়োজন ছিল না। যেকোনো ক্ষেত্রে ধৈর্য্যটা আসলে অত্যন্ত জরুরি, সঙ্গে রাখতে হবে সংযম। সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম খাটে।
এরপর আসুন দ্বিতীয় ধাপে। যে ৩০ দিন আপনি হাতে নিলেন সেইসময়টা কাজে লাগিয়ে মেনে চলুন ৪০-৩০-২০-১০ রুল। যারজন্য আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আপনাকে একটা ব্যয়ের হিসেব কষে ফেলতে হবে, আর সেটা লিখেও রাখতে হবে। শুরুতেই বাড়িভাড়া, শিশুদের জন্য বিভিন্ন খাতে বেতন এবং ঋণ নেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিতে হবে। তারজন্য মোট বাজেটের ৪০ শতাংশ খরচ করতে হবে। দৈনন্দিন জীবনযাত্রা, খাবার, পরিবহনে খরচ বেশ খানিকটা বেশি হয়। বাজেট তৈরির সময় সেই বিষটিকেও মাথায় রাখা জরুরি।
বিনোদনের জন্যও উপার্জনের একটা অংশ বরাদ্দ রাখা জরুরি। কারণ সপ্তাহের শেষে সিনেমা দেখা, রেঁস্তোয়ায় খাওয়াদাওয়া করা কিংবা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি থাকে। তারজন্য বরাদ্দ করুন আয়ের ৩০ শতাংশ। তাহলে বিনোদন আর সঞ্চয় দুই হবে।
অনেকেই নানান কারণে ঋণ নিতে বাধ্য হন। প্রতিমাসে তা শোধ করতেও হয়। তাই যাদের ঋণ আছে, তারা আয়ের ১০ শতাংশ রাখুন ঋণ শোধ করার জন্য। বাকী ১০ শতাংশ সঞ্চয় করুন। তাহলেই আর্থিক লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে। আর যাদের ঋণ নেওয়া নেই তারা পুরো ২০ শতাংশই সঞ্চয় করুন। তাতে আরও দ্রুত লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে।
আর্থিক উপদেষ্টাদের মতে, বেসরকারি চাকুরিজীবীদের মাসিক বেতনের প্রায় ৩০ শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত। সেক্ষেত্রে ৩০,০০০ টাকা বেতন হলে প্রতি মাসে ৯,০০০ টাকা সঞ্চয় করা উচিত। এই পরিমাণ সঞ্চয় না করতে পারলে বিনিয়োগের লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হবে না। সবমিলিয়ে সঞ্চয় করে কোটিপতি হতে গেলে বা ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে হলে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় এবং ব্যয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে সঞ্চয় জরুরি। আর সেক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী এই ৪০-৩০-২০-১০ রুল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন