সমকালীন প্রতিবেদন : মহেন্দ্র সিং ধোনি। যাকে একবাক্যে ক্রিকেটবিশ্ব চেনে ক্যাপ্টেন কুল নামে। সেই মহেন্দ্র সিং ধোনিও মেজাজ হারান। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে তিনিও গালিগালাজ করেন। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন ধোনির অধীনে দীর্ঘদিন খেলা পেসার মোহিত শর্মা। মোহিতের দাবি, একবার ধোনি এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে, মাঠেই তাঁকে গালিগালাজ করেন।
সম্প্রতি, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের সঙ্গে খেলার তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে একটি ম্যাচে মাঠের মধ্যেই ধোনির কাছে অপমানিত হতে হয়েছিল মোহিতকে। ক্রিকেট মহলে ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার হিসাবে পরিচিত ধোনি। প্রচন্ড চাপের মুখেও শান্ত থেকে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। ক্রিকেটপ্রেমীরা ধোনিকে যেভাবে দেখে অভ্যস্ত, তার সঙ্গে বাস্তবের অল্প হলেও পার্থক্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহিত।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের কথা মনে রয়েছে এখনও। মাহি ভাই ঈশ্বর পাণ্ডেকে বল করতে ডেকেছিল। আমার মনে হয়েছিল, আমাকেই বল করার জন্য ডাকছে। রান আপে গিয়ে দৌড় শুরু করতে মাহি ভাই চেঁচিয়ে বলে, ঈশ্বর বল করবে। ঈশ্বরকে চেঁচিয়ে ডাকতে শুরু করে। সে সময় বাধা দেন আম্পায়ার। তিনি বলেন, বল করার জন্য দৌড় শুরু করে দিয়েছিলাম বলে আমাকেই ওভারটা করতে হবে। তাতে অত্যন্ত রেগে গিয়েছিল মাহি ভাই। সকলের সামনেই আমাকে উল্টোপাল্টা বলতে শুরু করে।’’
সেই ওভারে মোহিত উইকেট পাওয়ার পরও রাগ কমেনি ধোনির। মোহিত বলেছেন, ‘‘প্রথম বলেই ইউসুফ পাঠানকে আউট করেছিলাম। সবাই যখন উচ্ছ্বাস করছিল, তখনও মাহি ভাই আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। যদিও মুখে একটা হাসি ছিল!’’ মোহিত মেনে নিয়েছেন, ধোনি খুব একটা মেজাজ হারান না। ৩৬ বছরের জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘মাহি ভাইয়ের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। খুবই ঠান্ডা মাথার মানুষ। মাহি ভাই রেগে যেতে পারে, এটা বিশ্বাস করাই কঠিন। তবে রেগে গেলে ব্যাপারটা একটু ভয়েরই। বিশেষ করে তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য তো বটেই।’’
উল্লেখ্য, ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন মোহিত। ধোনির দলের হয়ে ৪৭টি ম্যাচে ৫৭টি উইকেট নিয়েছেন। ২০১৪ সালের আইপিএলে তিনি বেগুনি টুপি জেতেন। ২০১৫ সালে ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপও খেলেছেন মোহিত। তবে এর মাঝেই নিজের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা এবার তিনি জানিয়ে দিলেন জনসমক্ষে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন