সমকালীন প্রতিবেদন : খাওয়ার খেলেই কী আজকাল ভুলে যাচ্ছেন গোটা বিশ্বব্রক্ষ্মান্ড? মনে থাকছে না কিছুই। যা আপনাকে ফেলে দিচ্ছে বড় সমস্যায়। কেন হচ্ছে বলুন তো এমনটা ? তাহলে কী এবার থেকে খাবার খাওয়াই বন্ধ করে দিতে হবে ? একটু সচেতন হলেই বোঝা যাবে কেন এমন হচ্ছে, আর কী তার সমাধান। একটু বয়স বাড়লে ভুলে যাওয়া বিষয়টিকে অনেকেই তেমন আমল দেন না। এটাকেই শরীরের স্বাভাবিক নিয়ম হিসেবেই মেনে নেওয়া হয়।
তবে সবসময় সেটা স্বাভাবিক ঘটনা নাও হতে পারে। আবার বয়স যদি কম থাকে তাহলে? কমবয়সী তরুণ-তরুণীরা যদি তাদের আশপাশ ভুলতে শুরু করেন, তাহলে? সেক্ষেত্রে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেওয়ার অর্থ আপনার চরম ভোগান্তি আপনি নিজেই ডেকে আনছেন। একটু সচেতন না হলে যেকোনো বয়সীরাই ভুগতে পারেন ব্রেন ফগ-য়ের মতো রোগে। যা আপনাকে বেশ খানিকটা সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। কারণ রোগ বয়স মানে না। তাহলে এখন কি করণীয় ? আসুন জেনে নেওয়া যাক কী এই ব্রেন ফগ? আর এর সমস্যাই বা কতটা গভীরে।
ব্রেন ফগ কোনও ডাক্তারি পরিভাষা নয়। স্মৃতিশক্তির অক্ষমতার সঙ্গে কোনও ব্যক্তির শারীরিক অবস্থাকে বর্ণনা করার জন্য এই শব্দটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ শারীরিক সমস্যা থাকলে তবে এই ব্রেন ফগের মতো রোগে ভুগতে পারেন কোনও ব্যক্তি। সম্প্রতি ভারতের সিটিসি মস্তিষ্কের ধোঁয়াশার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানিয়েছে, মানুষের খাদ্যাভাসের সঙ্গে এই রোগের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এবার দেখা যাক এই ব্রেন ফগের কারন কী?
এই রোগের মূলে রয়েছে শরীরের শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। যার পেছনে রয়েছে সেই অতিরিক্ত মিষ্টি, ভাজাভুজি, তেলমশলাযুক্ত বা বেশি কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার, যা খেলে আমাদের শরীরের শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অবস্থা দিনের পর দিন চলতে থাকলে রক্তে জমা হওয়া অতিরিক্ত শর্করা সরাসরি মাথার রক্ত জালিকায় আঘাত করে। যার প্রভাব পড়ে স্নায়ুতন্ত্রে। ফলে মাথাব্যথা, অবসাদ, ক্লান্তি বা ভুলে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলি সৃষ্টি হতে পারে।
এই অবস্থাকে ডাক্তারি পরিভাষায় ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া বলে। সিডিসির গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন কম ও কার্বোডাইড্রেট বেশি থাকলে ব্রেন ফগের সম্ভাবনা বাড়ে। পাশাপাশি, দিনের প্রধান দুই খাবার খাওয়ার মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি হলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাহলে এর হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে?
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করুন। এরপর খালি পেটে এক গ্লাস জল পান করুন। প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার জল পান করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ৮-৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিদিন সকালে কিছুটা সময় সূর্যের আলোয় থাকার চেষ্টা করুন। পুষ্টিকর খাবার বেশি পরিমানে খান। প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। কার্বোহাইড্রেট যতটা সম্ভব কম খান। অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভাল।
আমাদের শরীরে বেশিরভাগ রোগের উৎসস্থল পেট। যারসঙ্গে জড়িয়ে আছে খাদ্যাভাস। তাই সেটা ঠিক রাখলেই শরীর থাকবে নিরোগ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন