সমকালীন প্রতিবেদন : গৃহবধূর উপর মারধর ও শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল বনগাঁ থানা এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন বনগাঁর জোড়াব্রিজ এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম বাপ্পাদিত্য দাস, বাড়ি বসিরহাট থানা এলাকায়। কয়েক বছর আগে তার বিয়ে হয় পুরাতন বনগাঁর বাসিন্দা টগরি দাসের সঙ্গে। তবে দাম্পত্য জীবনে অশান্তি শুরু হওয়ায় প্রায় তিন মাস আগে টগরি বাবার বাড়ি বনগাঁতে চলে আসেন।
অভিযোগ, গত ২ তারিখ রাতে বাপ্পাদিত্য হঠাৎ শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়। সেখানে স্ত্রীকে গালিগালাজ ও মারধর করার পাশাপাশি ঘরের আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। টগরির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। এরপর ৩ তারিখে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বনগাঁ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বুধবার রাতে বসিরহাট থেকে বাপ্পাদিত্য দাসকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাপ্পাদিত্য দীর্ঘদিন ধরেই টগরিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। পরিবার ও সমাজের ভয়ে টগরি এতদিন মুখ খোলেননি। তবে সাম্প্রতিক ঘটনার পর আইনের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন