সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুলে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়াল বাগদা থানার হেলেঞ্চা হাই স্কুলে। সোমবার দুপুরে অভিযোগের জেরে ছাত্রছাত্রীরা স্কুল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শুধু তাই নয়, স্কুলের সামনেই রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায় তারা। পরিস্থিতি চরমে উঠলে অভিযুক্ত শিক্ষককে ধরে মারধর করা হয়। মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর জখম হন ওই শিক্ষক। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরাও। তারা একত্রিত হয়ে স্কুল গেটের সামনে পথ অবরোধ করে। কিছুক্ষণ পরেই উত্তেজনা বাড়তে থাকলে অভিযুক্ত শিক্ষককে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। মাথা ফেটে যায় তাঁর। চিকিৎসকের প্রাথমিক পরীক্ষায় চারটি সেলাই দিতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছায় স্কুলে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার জেরে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে না দেখেই এভাবে শিক্ষককে মারধর করা ঠিক হয়নি। তবে অন্য অংশের বক্তব্য, ছাত্রীরা নিরাপদ নয় বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সবাই।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রতিভা রায় এব্যাপারে বলেন, “আমরা এই ঘটনার কথা শুনেছি। ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এরপর আজ ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে বিক্ষোভ দেখায় এবং উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষককে আঘাত করে। তাঁর মাথায় সেলাই পড়েছে। এই বিষয়ে আইন আইনের পথে চলবে। ঘটনার কতটা সত্যতা আছে, তা আইনই প্রমাণ করবে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন