সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আজ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রকল্প ও নতুন যাত্রী পরিষেবার সূচনা হল। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার নবনির্মিত আধুনিক পার্কিং এলাকা উদ্বোধন করেন। এর ফলে বন্দর এলাকায় আগত পণ্যবাহী ট্রাক ও বাসের জন্য আরও সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পার্কিংয়ের ব্যবস্থা তৈরি হবে।
এর পাশাপাশি, তিনি কলকাতা–ঢাকা ভারত-বাংলাদেশ “সৌহার্দ্য যাত্রা” নামের একটি নতুন আন্তঃদেশীয় বাস পরিষেবারও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল ও পারস্পরিক যোগাযোগ আরও সহজ ও গতিময় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্য ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শান্তনু ঠাকুর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিক, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ান, স্থানীয় প্রশাসনিক প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, “নতুন পার্কিং এলাকা ও বাস পরিষেবা চালু হওয়ায় পেট্রাপোল স্থলবন্দরের যান চলাচল আরও সহজ হবে। এর ইতিবাচক প্রভাব ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্পর্কের ওপরও পড়বে।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জিএসটি হার হ্রাসের ঘোষণার প্রসঙ্গেও তিনি প্রতিক্রিয়া জানান। সাংসদ বলেন, “জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্তে সমস্ত ভারতবাসী উপকৃত হবেন। আমি চাইবো, সম্ভব হলে আরও বেশি করে জিএসটি কমানো হোক।” পাশাপাশি তিনি অনুপ্রবেশ রোধ ও এনআরসি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন, যা দেশের অর্থনীতির স্বার্থে জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মতে, নতুন পার্কিং এলাকা চালু হওয়ায় বন্দরের ভিড় কমবে এবং ট্রাক–বাস চলাচল আরও শৃঙ্খলিত হবে। আর ‘সৌহার্দ্য যাত্রা’ বাস পরিষেবা দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন