Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

এসএসসি পরীক্ষা কি সত্যিই পিছোবে? পরীক্ষা নিয়ে শীর্ষ আদালতের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ

 

SSC-Exam

সমকালীন প্রতিবেদন : আসন্ন এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তার আবহে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানাল, রাজ্য সরকার চাইলে সেপ্টেম্বরের ৭ ও ১৪ তারিখের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে পারে। একইসঙ্গে চাকরিরত শিক্ষকদের জন্য ফর্ম ফিল-আপের বাড়তি সাত দিনের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট হয়েছে— যারা বর্তমানে স্কুলে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন এবং ‘যোগ্য’ হিসেবে স্বীকৃত, তাঁদের সবাইকে নতুন পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।

এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেই খানিকটা স্বস্তির হাওয়া বয়ে গেল চাকরিহারা ‘যোগ্য’ প্রার্থীদের মুখে। এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, রাজ্য সরকার চাইলে সেপ্টেম্বর নির্ধারিত নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি, চাকরিরত শিক্ষকদের ফর্ম ফিল-আপের জন্য অতিরিক্ত সাত দিনের সময় দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে— যারা বর্তমানে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত স্কুলে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন, তাঁদের সকলকেই পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে।

২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ আখ্যা দিয়ে গত এপ্রিল মাসে গোটা প্যানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। রাতারাতি চাকরি হারান প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় নতুন পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার। সেইমতো রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং সেপ্টেম্বরের ৭ ও ১৪ তারিখে পরীক্ষা নেওয়ার দিন ধার্য হয়।

কিন্তু সমস্যায় পড়েন চাকরিরত ‘যোগ্য’ প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস করাচ্ছেন। ফলে প্রতিদিন স্কুলের দায়িত্ব সামলে নতুন পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে তাঁদের কাছে। এই পরিস্থিতিতেই পরীক্ষা পিছনোর আর্জি জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টে।

বৃহস্পতিবারের শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের তির্যক মন্তব্য—“আপনারা যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের বাঁচাতে চাইছেন, এটা অত্যন্ত হতাশাজনক। এখনও কি আপনারা নিজেদের পছন্দের অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে ঢোকাতে চাইছেন? লজ্জাজনক! আমরা আগেই বলেছি, কোনওভাবেই অযোগ্যদের নিয়োগে সুযোগ দেওয়া হবে না।”

এছাড়া, আদালত এদিন জানায় যে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেলে থাকা এবং ‘টেন্টেড’ নন এমন শিক্ষকরা, যাঁরা স্নাতকে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে বিএড করেছিলেন, তাঁদেরও পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে। কারণ, নতুন বিজ্ঞপ্তিতে এনসিইআরটি-র নিয়ম মেনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ৫০ শতাংশ নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।

চাকরিরত শিক্ষকদের আবেদন, শুধু জিএসটি মকুব বা নীতি পরিবর্তন করলেই হবে না, তাঁদের পরীক্ষার প্রস্তুতির সময়ও দিতে হবে। আদালত তাঁদের যুক্তি আংশিক মেনে পরীক্ষার দিন পিছনোর বিষয়ে রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছে। একই সঙ্গে, ফর্ম ফিল-আপের জন্য সাত দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই মামলার সমস্ত পক্ষকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এখন নজর রাজ্যের উপর— এসএসসি পরীক্ষা কি সত্যিই পিছোবে? নাকি নির্ধারিত সময়েই হবে নতুন নিয়োগ পরীক্ষা?





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন