সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এক কিংবদন্তির নাম রোহিত শর্মা। সাদা বলের ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান তারই দখলে। এক নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে একাধিকবার দ্বিশতরান করেছেন তিনি। তবে লাল বলের ক্রিকেটে ততটাও ছাপ ফেলতে পারননি রোহিত। সেই কারণে টেস্টে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে বিগত কয়েকবছর চরম সমালোচনা হয়েছে দেশে। এর মাঝে গত ৭ মে আচমকা লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন রোহিত শর্মা।
সেই কারণে ক্রিকেট থেকে এখন অনেকটাই দূরে রয়েছেন। তবে অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া ওয়ানডে সিরিজের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। এরই ফাঁকে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাট নিয়ে ‘নস্টালজিক’ হিটম্যান। টেস্ট ক্রিকেটকে তিনি ‘চ্যালেঞ্জিং’ আর ‘ক্লান্তিকর’ও বলেছেন। কীভাবে এর মোকাবিলা করতে শিখেছেন, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রোহিত বলেন, “টেস্ট ক্রিকেট লম্বা সময়ের খেলা। ভালো প্রস্তুতি ছাড়া টেস্ট খেলা সম্ভব নয়। এখানে আপনাকে পাঁচ দিন ধরে খেলতে হবে। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় ধরে মাঠে থাকতে হবে। টেস্ট খেলার জন্য মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হয়। যা খুবই চ্যালেঞ্জিং। একই সঙ্গে ক্লান্তিকরও। এর জন্য মানসিকভাবে সতেজ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত ক্রিকেটারই কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে বড় হয়েছে।”
রোহিতের সংযোজন, “যখন আমরা প্রতিযোগিতামূলক স্তরে ক্রিকেট খেলতে শুরু করি, তখন থেকেই আমাদের প্রস্তুত করা হতো। এমনকী মুম্বইয়ে ক্লাব ক্রিকেট ম্যাচ দুই অথবা তিন দিন ধরে চলে। তখনও আমরা এভাবেই প্রস্তুতি নিই। খুব ছোটবেলা থেকেই আমাদেরকে এভাবে শেখানো হয়। ফলে ভবিষ্যতে আসা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কিছুটা সহজ হয়ে যায়।”
টিম ইন্ডিয়ার ওয়ানডে দলের অধিনায়কের কথায়, “সকল তরুণ খেলোয়াড় তাদের কেরিয়ারের শুরুতে ভালো প্রস্তুতির কথা বোঝে না। তবে, ধীরে ধীরে তারা এর গুরুত্ব বুঝতে পারে। যখন খেলা শুরু করেছিলাম, তা ছিল কেবল মজা আর উপভোগ করার জন্য। কিন্তু সময় পরিবর্তন হয়। ধীরে ধীরে আপনি এগিয়ে যান। এরপর বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। তারপর সিনিয়র খেলোয়াড় কিংবা কোচের সঙ্গেও দেখা হয়।
সেই সময় কিন্তু তাঁরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে কথা বলেন। তাই প্রস্তুতিই মূল চাবিকাঠি।” উল্লেখ্য, দেশের হয়ে ৬৭ টেস্টে ৪৩০১ রান করেছেন রোহিত। গড় ৪০.৫৮। শেষ পর্যন্ত রোহিত শর্মা বলেন, ক্রিকেট নয়, জীবনের যেকোনও ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের মূল চাবিকাঠি হলো প্রস্তুতি। কঠোর পরিশ্রম, মানসিক প্রস্তুতি এবং আত্মনিবেদন—এই তিনটি গুণই একজন খেলোয়াড়কে টেস্টের মত কঠিন ফরম্যাটে সফল করে তোলে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন