Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

বাংলার সম্মান রক্ষার আহ্বান জানিয়ে বনগাঁয় তৃণমূল নাগরিক সভার প্রস্তুতি বৈঠক

 ‌

Preparation-for-Citizens-Meeting

সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাভাষী মানুষকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে অপমান এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী বাঙালিদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে বনগাঁয় সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার শহরে আয়োজিত প্রস্তুতি বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ঘোষণা করল, কালীপুজোর পর সীমান্ত শহর বনগাঁয় এক বৃহৎ নাগরিক কনভেনশনের আয়োজন করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষ, বনগাঁ পুরসভার প্রধান গোপাল শেঠ, জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নারায়ণ ঘোষ সহ একাধিক কাউন্সিলর ও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব।

বৈঠকের মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানান কুনাল ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেন, “বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বললেই ভারতীয় বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। মতুয়ারাও হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংলাভাষীদের লক্ষ্য করে অপমান করছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে এক গভীর চক্রান্ত চলছে। কখনো এনআরসি, কখনো এসআইআর, আবার কখনো বাবা–মায়ের বার্থ সার্টিফিকেট দেখানোর নামে বাঙালিকে শেকড়চ্যুত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু বাংলার সংস্কৃতি ও ভাষার উপর এই আক্রমণ আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।”

বক্তৃতায় সীমান্ত শহর হিসেবে বনগাঁর গুরুত্বকেও তুলে ধরেন কুনাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, “এখানেই বিজেপি সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার ও কুৎসা ছড়ায়। অথচ সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। অনুপ্রবেশ রুখতে না পেরে দোষ চাপাচ্ছে বাংলাভাষী মানুষের উপর, এই রাজ্যের সরকারের উপর।”

বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে রাজনৈতিক সীমানার বাইরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে “বাংলার মান, বাঙালির সম্মান” নামে এক নাগরিক মঞ্চ। এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে ঠিক হয়, কালীপুজোর পর বনগাঁয় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষকে নিয়ে একটি বৃহৎ নাগরিক কনভেনশন হবে, যেখানে মূল বক্তা থাকবেন কুনাল ঘোষ।

গোপাল শেঠ বলেন, “বাংলা ভাষা ও বাঙালির সম্মানের প্রশ্নে বিজেপি যেভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে একত্রিত করতেই এই উদ্যোগ।” তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, নাগরিক কনভেনশনের মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ও জনগোষ্ঠীর উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মঞ্চে আনাই প্রধান লক্ষ্য। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে জনমত গড়ে তুলতে পারলে তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট রাজনৈতিক সুবিধা পেতে পারে।‌

যদিও এই নাগরিক কনভেনশনকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, 'নির্বাচন কমিশন এসআইআর এর প্রস্ততি নেওয়ায় তৃণমূল বাঙালি সেন্টমেন্টের জিগির তুলছে। এতে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূল এতোদিন ভোটার তালিকায় মৃত ভোটার, অবৈধ ভোটারদের নাম তুলে তাদের ভোটে জয়ী হচ্ছিল, সেই নাম বাদ পড়লে তৃণমূল বিদায় নেবে। সেই ভয়েই এতোসব কান্ড।'


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন