Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫

গ্রামে মিললো চিতাবাঘের পায়ের ছাপ, সন্ধ্যার পর প্রায় ফাঁকা গ্রাম

 

Leopard-footprints

সমকালীন প্রতিবেদন : জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রামে চিতাবাঘের উপস্থিতির আশঙ্কায় ছড়িয়েছে ব্যাপক আতঙ্ক। গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পাওয়া গিয়েছে একাধিক পায়ের ছাপ, যা বন দপ্তরের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী চিতাবাঘেরই। যদিও এখনো পর্যন্ত কেউ সরাসরি বন্যপ্রাণীটিকে দেখতে পাননি বা এর আক্রমণের শিকার হননি, তবুও আতঙ্কের মাত্রা কমছে না।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সপ্তাহখানেক আগে সকালে প্রথমবার এই পায়ের ছাপ নজরে আসে। এরপর গ্রামে গুজবের মতো খবর ছড়িয়ে পড়ে—চিতাবাঘ নাকি আশপাশেই ঘুরছে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষ ও শিশুদের নিয়ে পরিবারগুলির দুশ্চিন্তা বেড়েছে।

পাহাড়পুরের বাসিন্দা প্রণব রায় বলেন, "দিনের বেলাতেও এখন আর নিশ্চিন্তে বাইরে যেতে পারছি না। বাচ্চাদের একা খেলতে দিচ্ছি না। সন্ধ্যা নামার আগেই দরজা-জানালা বন্ধ করে দিচ্ছি।"

পাহাড়পুর মূলত কম জনবসতিপূর্ণ হলেও দিনের বেলায় মানুষের চলাচল থাকে। স্থানীয়দের ধারণা, চিতাবাঘ খাবারের সন্ধানে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়তে পারে। ফলে আতঙ্কে অনেকে সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বেরোনোই বন্ধ করে দিয়েছেন।

যদিও বেশিরভাগ মানুষ নিশ্চিত এটি চিতাবাঘের ছাপ, তবু কিছু বাসিন্দার সন্দেহ—এটি হয়তো অন্য কোনো বড় প্রাণীর। বন দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, “ছাপ পরীক্ষা করে আমরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি এটি চিতাবাঘেরই। তবে নজরদারি জোরদার করা হবে।”

এলাকাবাসীর দাবি, বন দপ্তর দ্রুত ক্যামেরা ট্র্যাপ বসিয়ে চিতাবাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করুক এবং প্রয়োজনে প্রাণীটিকে ধরে বনাঞ্চলে ছেড়ে দিক। না হলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

পাহাড়পুরে এখন কার্যত ভয়ের আবহ। বাজার, চা-দোকান বা পাড়ার আড্ডা—সবই যেন সন্ধ্যার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ অপেক্ষা করছে বন দপ্তরের পদক্ষেপ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার জন্য।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন